বাংলার দুগ্গা পুজো: কীভাবে যাবেন বর্ধমানের কালিকাপুর রাজবাড়ির পুজো দেখতে?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রায় ৪০০ বছর ধরে এখানে মহাসমারোহে পুজো হয়ে আসছে বর্ধমানের আউশ গ্রামের কাছে কালিকাপুর রাজবাড়ির দুগ্গা পুজো। বলিউড-টালিউডের বহু ছবির শ্যুটিং হয়েছিল এই রাজবাড়িতে। ঐতিহ্যের এখনও সঙ্গে মাথা তুলে দাড়িয়ে আছে এই রাজবাড়ি।
আজও এখানে নিয়ম মেনে চলে আসছে দুর্গাপুজো। জানা গেছে রাজ পরিবারের সকলেই কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। কিন্তু দুর্গাপুজোর সময় পরিবারের সকল সদস্য সমবেত হন পুজোতে।
পুজোর আয়োজন করা হয় পরম যত্নে। রাজবাড়ির এই পুজোয় আনন্দের ভাগিদার সতে আসেন বহু মানুষ। জানা গেছে, রাজবাড়িতে শ্যুটিং থেকে যে আয় হয়, সেই টাকা দিয়েই আয়োজন করা হয় দুর্গাপুজোর। সারা বছর ধরে চলে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান রাজারদেওয়ান ছিলেন পরমানন্দ রায়। তাঁর ছিল অজয় নদের তীরবর্তী কাঁকসার বিশাল জমিদারি । জঙ্গল অংশ কেটে তৈরি করেছিলেন নিজ বসতবাটি। তৈরি হয় পুকুর, বাগান।
আর পরিবারের দুর্গাপুজো করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল দুর্গা মন্দির। পরমানন্দের সাত পুত্রের জন্য তৈরি হয় সাতমহলা প্রাসাদ। সাতমহলা প্রাসাদে সাতটি বাড়ি আলাদা হলেও, পুজো মন্ডপ রয়েছে একটি। এই প্রাসাদই কালিকাপুর রাজবাড়ী বলে খ্যাত।
পথ নির্দেশিকা: বর্ধমান মেন টাউন থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত কালিকাপুর রাজবাড়ী। দুর্গাপুর থেকে কালিকাপুর রাজবাড়ীর দূরত্ব ৩২ কিলোমিটার। আসানসোল থেকে ৭৭ কিলোমিটারের মধ্যে এই রাজবাড়ি। দুর্গাপুরের মুচিপাড়া থেকে মলানদিঘি রোড ধরে আরও কিছুটা এগিয়ে গেলেই, আপনি পৌঁছে যাবেন কালিকাপুর রাজবাড়ি। বর্ধমান থেকে কালিকাপুর রাজবাড়ি যেতে হলে, আপনাকে পানাগর থেকে রাজবাড়ি যাওয়ার রাস্তা ধরতে হবে। কলকাতা থেকেও কালিকাপুর রাজবাড়ির দূরত্ব ১৭৫ কিলোমিটার।
বি:দ্র: যারা গাড়ি বা বাইক নিয়ে যাবেন তাদের জন্য পানাগড় টোলপ্লাজার কাছে এসে স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞেস করুন অথবা গুগল ম্যাপ দেখুন।