লোকসভা নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মূল্যায়নে বসছে BJP-র শীর্ষ নেতৃত্ব
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লোকসভা নির্বাচন নিয়ে পুরদস্তুর মাঠে নেমে পড়েছে বিজিপি। ইতিমধ্যেই তারা দলের রনকৌশল কী হবে, তা নিয়ে দফায় বৈছক শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই তারা দেশ জুড়ে সমীক্ষা শুরু করে দিয়েছে। শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের সেই সমীক্ষার মূল্যায়নে বসছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
২০১৯ সালে খুব অল্প ব্যবধানে হারানো আসনগুলিতে বাড়তি শক্তি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। ২০১৯ সালে রাজ্যে ১৮টি আসন জিতেছিল বিজেপি। দল মনে করছে, হারা বাকি ২৪টি আসনে বাড়তি জোর দিতে পারলে আরও বঙ্গে একাধিক আসনে পদ্ম ফোটানো সম্ভব।
বাংলা থেকে ৩৫টির বেশি আসন জয়ের টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন অমিত শাহরা। সেই লক্ষ্যে হারা আসনগুলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল দলের বাছাই করা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও ভিন রাজ্যের নেতাদের। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ধর্মেন্দ্র প্রধান, স্মৃতি ইরানি, প্রতিমা ভৌমিক, পঙ্কজ চৌধুরী প্রমুখ। গত কয়েকমাসে তাঁরা পালা করে সংশ্লিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রে থেকে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এই কর্মসূচির পোশাকি নাম লোকসভা প্রবাস। এবার সেই মন্ত্রী-নেতাদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে সার্বিক মূল্যায়নে বসবেন সর্বভারতীয় সভাপতি। দিল্লিতে নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করবেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-নেতারা। নাড্ডার কাছে এই দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানাবেন, বাংলায় হেরে যাওয়া ২৪টি আসনের মধ্যে ক’টা জেতা সম্ভব। এই বৈঠকে বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, মঙ্গল পান্ডে ও আশা লাকরার উপস্থিত থাকার কথা।
তবে অনেকেরই প্রশ্ন বঙ্গ বিজেপি’র গোষ্ঠী কোন্দল না মেটালে আদৌ কি লোকসভা নির্বাচনে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব। বিজেপি’র অনেকেই বলছেন, বঙ্গ বিজেপি’র ঐক্য তো শুধুই ছবিতে। মুখ খুললেই অনৈক্য। অনেক সময়ই ছবিতে দেখা যায় একসাথে সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, অমিতাভ চক্রবর্তী-সহ বঙ্গ বিজেপি’র শীর্ষ নেতারা ফটোসেশনে পাশাপাশি বসে। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা ভিন্ন। এমনকী, নয়া জেলা সভাপতি নিয়োগ ঘিরে দলের মধ্যে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। সব মিলিয়ে ঐক্যের সুরে বাঁধা যাচ্ছে না বঙ্গ বিজেপিকে। নেতৃত্বের আশঙ্কা, এই ঘটনার সরসারি প্রভাব পড়তে পারে লোকসভা ভোটে।