বদলার ডার্বিতে জয়, ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ডুরান্ড জিতল ১০ জনের মোহনবাগান
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আজ সব রাস্তা মিশেছিল যুবভারতীতে, মানুষের উপচে পড়া ভিড় প্রমাণ করল আজও বাঙালির ডার্বি আবেগ অক্ষত। ইস্ট-মোহনের লড়াই তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করল ফুটবল প্রেমীরা। বদলার ডার্বি জিতে শিরোপা জিতল জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। দশ জনের বাগানের বিরুদ্ধে দাঁত ফোটাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। তবে ডার্বির উত্তাপ ছিল চোখে পড়ার মতো, ফুটবলারদের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছিল কোচদের মধ্যেও, রেফারিকে কোচদের প্রতিও কার্ড ব্যবহার করতে হয়। ১-০ ডুরান্ড জিতে নেয় মোহনবাগান। অন্যদিকে, উনিশ বছরেও স্বপ্ন অধরা। ২০১২-র পর থেকে অদ্যাবধি জাতীয় স্তরের ট্রফি তাঁবুতে নিয়ে যেতে পারল না লাল-হলুদ।
আজ ম্যাচের প্রথম থেকে উন্মাদনার টের পাওয়া যাচ্ছিল। খেলোয়াড়রাও টের পেয়েছিলেন স্নায়ুর লড়াই কী জিনিস! প্রথম কোয়েটার দুই শিবিরই বুঝে নেওয়া খেলা খেলছিল। ম্যাচের ছ’মিনিটে এবং পনেরো মিনিটে সুযোগ পেয়েও গোলের মুখ খুলতে পারেনি বাগান। প্রথমার্ধের দ্বিতীয় কোয়াটারে বাগানের রক্ষণে আক্রমণ গড়ে তোলেন খাবরা, রাকিপ, বোরহারা কিন্তু গোল আসেনি। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোল শূন্য অবস্থাতেই।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও জোড়া সুযোগ হাতছাড়া করে বোরহা, ক্লেটনরা। ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্ড দেখেন। অন্যদিকে, জোড়া হলুদ কার্ড অর্থাৎ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন অনিরুদ্ধ। দশ জনের বাগানের বিরুদ্ধেও ফায়দা তুলতে ব্যর্থ হয় কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। ৭১ মিনিটে দুরন্ত গোল করেন পেত্রাতোস। একক দক্ষতায় গোলটি করেন দিমিত্রি। মাঝমাঠ থেকে সোলো রানে বল টেনে নিয়ে আসেন তিনি। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর বাঁ-পায়ের শটে বল জালে জড়ান। ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে একেবারে আলগা হয়ে পড়ে। প্রথম এক ঘন্টা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চললেও, ম্যাচের শেষ ত্রিশ মিনিট কার্যত ছন্নছাড়া দেখায় ক্লেটনদের। এক গোলে ব্যবধান আর তাঁরা মেটাতে পারেননি। ফলে ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ১৩২ তম ডুরান্ড জিতে নেয় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে ১৭ বার ডুরান্ড জিতল মোহনবাগান।