ডুরান্ড ফাইনাল ২০২৩: ডার্বির সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে কী বলছেন সুব্রত, বিদেশ, নবি, মর্গ্যানরা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রবিবার ডুরান্ড কাপ ফাইনালে বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইমামি ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হচ্ছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। এই মরশুমে গ্রুপ পর্বের কলকাতা ডার্বিতে লাল হলুদ মশাল জ্বলেছিল। মোহনবাগানের কাছে এই ফাইনাল প্রতিশোধের ম্যাচ। দুই দলই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ১৬ বার করে, ১৯ বছর আগে ডুরান্ড কাপ ফাইনালে মোহনবাগানকে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু এবার কী হবে? কী বলছেন প্রাক্তনরা?
সুব্রত ভট্টাচার্য বলছেন, যে ভালো খেলবে সেই জিতবে। হেভিওয়েট বলে কিছু হয় না। ১৯৭৭ সালে তাঁরাও হেভিওয়েট ছিলেন, দু-গোলে হেরেওগিয়েছিলাম। চুনী গোস্বামী, সুরজিৎ সেনগুপ্তদের মতো ফুটবলার কথাও ডার্বি প্রসঙ্গে মনে করাচ্ছেন মোহনবাগানের ঘরের ছেলে।বাংলা থেকে প্রতিভা তুলে আনলেই ভারতীয় ফুটবলের অগ্রগতি হবে বলে মনে করছেন তিনি।
বিদেশ বসুর বক্তব্য, ফাইনাল ম্যাচের গুরুত্ব বুঝিয়ে কর্মকর্তারা টিমকে কতটা তাতাতে পারবেন তার উপর অনেক কিছু নির্ভরশীল। বিদেশ বসু আরও বলেন, ইমামি ইস্টবেঙ্গল আগের ম্যাচে ভালো খেলেছে। অবশ্য তিনি ফাইনালে কাউকে এগিয়ে রাখছেন না। তাঁর কথায়, দুই দলেই এমন ফুটবলাররা রয়েছেন, যাঁরা ব্যক্তিগত পারদর্শীতায় ফারাক গড়ে দিতে পারেন। দুই দলই নিজেদের সেরাটা দিক। এই ধরনের ম্যাচে যারা চান্স কাজে লাগাতে পারবে তারাই ভালো করব। তবে দুই দলেই বাঙালি বা ভারতীয় ফুটবলারের না থাকাটাও উল্লেখ করেন তিনি।
দীপেন্দু বিশ্বাসের দাবি, ভালো ম্যাচ হবে। মানসিকতার ম্যাচ, যারা ভালো খেলবে তারাই জিতবে। দুই দলই ছন্দে। বড় ম্যাচের প্রেডিকশন হয় না।
সৈয়দ রহিম নবির মতে, টিকিটের চাহিদা, উন্মাদনাই বলে দিচ্ছে কে বলেছে ডার্বির সেই মজা নেই? মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট তুলনামূলক ভালো দল। তবে এই ম্যাচ সব সময়ই ৫০-৫০ থাকে। আবেগ নিয়ে যারা খেলবে তাদের সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
অন্যদিকে, প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যান বাংলার এক সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাঁর ধারণা ইস্টবেঙ্গল ৩-০ ব্যবধানে ফাইনাল জিতবে।
২০০৪ সালের ডুরান্ডের নায়ক চন্দন এগিয়ে রাখছেন ইস্টবেঙ্গলকে। এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এবার লাল-হলুদ ফুটবলারদের মধ্যে একটা হাল না ছাড়া মনোভাব আছে। কার্লেস কুয়াদ্রাতও দলটাকে গুছিয়ে নিয়েছেন। সবাই দলের জন্য, একে অপরের জন্য প্রাণও দিতে পারে। সেখানে মোহনবাগানে বড় নাম থাকলেও ওরা এখনও একটা দল হয়ে উঠতে পারেনি।