মশাল না নৌকা এগিয়ে কে? কী বলছে ডুরান্ডের পরিসংখ্যান?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রবিবার কলকাতায় ডার্বি। গোটা বাংলা ফের দ্বিখণ্ডিত। ময়দানে টিকিটের জন্য হাহাকার, দুই দলের সমর্থকদের আস্ফালন, শহরের আনাচে কানাচে ঘটি-বাঙালের ঠান্ডা লড়াই, সরগরম আবহ; সব মিলিয়ে ডার্বি আছে ডার্বিতেই। বিকেলে সব পথ গিয়ে মিশবে বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। কলকাতা ডার্বির বয়স একশো বছর পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু আজকের ফাইনালে কী হবে? কী বলছে পরিসংখ্যান?
ডুরান্ড কাপের বয়স ১৩৫ বছর, একশো পেরোনো টুর্নামেন্টে একশো বছরেরও বেশি প্রাচীন দ্বৈরথ। ১৯৫৭ সালের ডুরান্ড সেমিফাইনালে প্রথম দেখা হয়েছিল কলকাতার দুই প্রধানের। তারপর থেকে এই টুর্নামেন্টে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোট কুড়িবার। আটবার জিতেছে লাল-হলুদ শিবির ও সাতবার সবুজ-মেরুন। ড্র হয়েছে পাঁচবার। গত বছরও গ্রুপ পর্বেই দুই দলের লড়াই হয়েছিল, ১-০-এ জিতেছিল তদানিন্তন এটিকে মোহনবাগান।
ডুরান্ডসহ ডার্বির ইতিহাসে ময়দানে ৩৮৪ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই ক্লাব। ইস্টবেঙ্গল জিতেছে ১৩২ টি ম্যাচ আর মোহনবাগান জয় পেয়েছে ১২৭ টি ম্যাচে। এগিয়ে ইস্টবেঙ্গলই। ২০১৭-২০২৩ পর্যন্ত, শেষ ছয় বছরে মোট ১৮ টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে কলকাতার দুই প্রধান। তাতে ১২ বার জেতে সবুজ-মেরুন। মাত্র ২ বার জয়ের মুখ দেখে ইস্টবেঙ্গল। আর ৩টি ম্যাচ গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়েছে।
১৯ বছর আগে ডুরান্ড ফাইনালে কলকাতা ডার্বি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল, সেবার জিতেছিল সুভাষ ভৌমিকের লাল-হলুদ। আজ, ৩ সেপ্টেম্বর আরও একবার সেই লড়াইয়ের সাক্ষী থাকতে চলেছে বাংলার ফুটবল। বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শেষপর্যন্ত কোন দল ১৭ তম ডুরান্ড খেতাব জেতে, এখন সেটাই দেখার।
এক নজরে ডুরান্ড ডার্বির হিসেবে নিকেশ:
- ১৯৫৭ সালের ডুরান্ড কাপ সেমিফাইনাল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ গোলশূন্যভাবে শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ের খেলায় লাল হলুদ জেতে ৩-২ গোলে।
- ১৯৬০ সালের ফাইনাল ১-১ গোলে শেষ হয়, ফলাফল ছিল ০-০।
- ১৯৬৪ সালে ডুরান্ড কাপ ফাইনালে মোহনবাগান ২-০ গোলে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে।
- ১৯৭০ সালের ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল ২-০ গোলে মোহনবাগানকে হারায়।
- ১৯৭২ সালের ফাইনাল গোলশূন্য থাকার পর, ১-০ গোলে মোহনবাগানকে হারায় ইস্টবেঙ্গল।
- ১৯৭৪ সালে ডুরান্ড সেমিফাইনালে মোহনবাগান ১-০ গোলে হারায় ইস্টবেঙ্গলকে।
- ১৯৭৮ সালে মোহনবাগানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ডুরান্ড জেতে লাল হলুদ।
- ১৯৮২ সালের ডুরান্ড ফাইনালে কলকাতা ডার্বি শেষ হয়েছিল গোলশূন্যভাবে।
- ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে ডুরান্ড ফাইনালে মোহনবাগান দু-বারই ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ডার্বি জিতেছিল।
- ১৯৮৭ সালে ডুরান্ড সেমিফাইনালে মোহনবাগান ৩-০ গোলে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল।
- ১৯৮৮ সালের ডুরান্ড সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল ২-০ গোলে মোহনবাগানকে হারায়।
- ১৯৮৯ সালের ডুরান্ড ফাইনাল নির্ধারিত সময় গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে মোহনবাগানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গল।
- ১৯৯৪ সালের ডুরান্ড ফাইনালে মোহনবাগান ১-০ গোলে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে।
- ১৯৯৮ সালের ডুরান্ড সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল ২-০ গোলে সবুজ মেরুনকে হারায়।
- ২০০৪ সালের ডুরান্ড কাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। সেবার ২-১ গোলে মোহনবাগানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় লাল হলুদ।