ASIA CUP 23: রোহিত-গিল ঝড়ে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে নেপালের বিরু্দ্ধে জয়ী ভারত
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সব আশঙ্কা দূর করে শেষ পর্যন্ত পাল্লেকেলেতে বৃষ্টি থামল, খেলা শুরু হল এবং ভারত জয়ী হল। ASIACUP 23 তে নেপালকে ১০ উইকেটে হারাল ভারত। ২০.৫ ওভারে ১২৮ রান সংগ্রহ করার লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে ২০.১ ওভারে গুলশানের বলে চার মেরে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন শুভমন গিল। রোহিত শর্মা ৭৪ রানে এবং গিল ৬৭ রানে অপরাজিত থেকে গিয়েছেন।
শনিবার এশিয়া কাপ ২০২৩ অভিযান শুরু করে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হাই-ভোল্টেজ লড়াই দিয়ে। যদিও মাঝপথেই ভেস্তে যায় পাল্লেকেলের ভারত-পাক মহারণ। ফলে এ-গ্রুপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগ করে নিতে হয় রোহিত শর্মাদের। এবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ার প্রতিপক্ষ আনকোরা নেপাল, যারা চলতি এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয় পাকিস্তানের কাছে।
সোমবার নেপালের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমে পাঁচ ওভার গড়াতে না গড়াতেই তিন-তিনটি ক্যাচ ফেলল ভারত। সমর্থকেরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন, দুর্বল প্রতিপক্ষ বলেই কি ভারতের খেলার মধ্যে একটা গা ছাড়া মনোভাব এসেছে?
এদিন টস জেতে ভারত। টস জিতে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান নেপালকে। নেপালের ক্যাপ্টেন রোহিত পাউদেল স্পষ্ট জানান যে, তিনি টস জিতলে শুরুতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিতেন। যদিও তিনি এটা জানাতে ভোলেননি যে, ভারতেত বিরুদ্ধে খেলতে নামা তাদের কাছে বড় সুযোগ। তাই নেপালের ক্রিকেট ইতিহাসে আজকের দিনটি আলাদাভাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
নেপাল ২৩০ রানে অল-আউট হয়। সুতরাং, জয়ের জন্য ভারতের দরকার ২৩১ রান। শুভমন গিলকে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নামেন রোহিত শর্মা। ২.১ ওভারে যখন ভারতের স্কোর বিনা উইকেটে ১৭ রান তখন বৃষ্টি নামে। বৃষ্টিতে ম্যাচ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়। গিল ১২ ও রোহিত ৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
রাত ১০টা ১৫ মিনিটে পুনরায় শুরু হয় ম্যাচ। সিদ্ধান্ত হয় খেলা হবে ২৩ ওভারের। পাওয়ার প্লে ৫ ওভারের। জয়ের জন্য ভারতের দরকার ১৪৫ রান। অর্থাৎ, অবশিষ্ট ২০.৫ ওভারে ভারতকে সংগ্রহ করতে হবে ১২৮ রান। ৩ জন বোলার ৫ ওভার করে বল করতে পারবেন। ২ জন করতে পারবেন সর্বোচ্চ ৪ ওভার করে।
পুনরায় খেলা শুরু হলে মাঠে নামেন অপরাজিত দুই ব্যাটার শুভমন গিল ও রোহিত শর্মা। মাঠে নেমেই ঝড় তোলে রোহিত-গিল জুটি। একের পর এক ৪-৬ মারতে থাকেন তাঁরা। ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৯ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রোহিত শর্মা। ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শুভমন গিল।