মণিপুর সরকারের অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতত্বাধীন বেঞ্চ মণিপুর সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে এডিটরস গিল্ড অব ইন্ডিয়ার চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা এখন নেওয়া যাবে না। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট গিল্ডের সভাপতি সীমা মুস্তাফা এবং অন্য অভিযুক্তদের রক্ষাকবচ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। মণিপুরে ভয়াবহ গোষ্ঠী সংঘর্ষে রাজ্যের বিজেপি সরকারের মদতের তথ্য তুলে ধরেছেন ওই সাংবাদিকরা।
মণিপুরের গোষ্ঠীহিংসা নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর এবং পক্ষপাতদুষ্ট’ খবর প্রচারের অভিযোগে ‘এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া’ (ইজিআই)-র চার সদস্যের বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর দায়ের করে মণিপুর পুলিশ।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পরদিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ বুধবার নোটিশও পাঠিয়েছে রাজ্য সরকারকে। সাংবাদিক সম্পাদকদের সংগঠন ‘এডিটরস গিল্ড’ প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল। বিভিন্ন স্তরেই এই অভিযোগ ছিল যে সংখ্যাগুরু মেইতেইদের মদত দিয়েছে বিজেপি সরকার। মুখ্যত আদিবাসী জনগোষ্ঠী কুকিরা আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারি মদতের তথ্য তুলে ধরে এই প্রতিবেদন। রাজ্যের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম কিভাবে মেইতেইদের মুখপত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে, উদ্বেগ জানানো হয় তা নিয়েও।
ইজিআই-এর তথ্যসন্ধানী দল মণিপুরে গিয়ে একটি অগ্নিদগ্ধ বাড়ির ছবি প্রকাশ করে সেটিকে ‘কুকিদের বাড়ি’ বলে চিহ্নিত করেছিল বলে অভিযোগ। মণিপুর পুলিশের দাবি, তদন্তে প্রমাণিত হয় সেটি মণিপুরের বন দপ্তরের কার্যালয়। এর পরেই ‘ভুল ছবি’ ব্যবহার নিয়ে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল গিল্ডের তরফে। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা এন বীরেন সিংহ সোমবার এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পাশাপাশি গিল্ডের ওই চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও দায়ের করা হয়েছিল।
মণিপুর সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল গিল্ড। বুধবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়েছে আগামী সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত অভিযুক্ত চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।