বর্ষায় বাইচ প্রতিযোগিতার স্বাদ নিতে চান? জানুন কোথায় যেতে হবে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লম্বা সরু সরু এক একটা নৌকা, তাতে আট-দশজন করে লোক, কে কার আগে পৌঁছতে পারে! ক্যানিং এক নম্বর ব্লকের রাঙামারি ও গোবরামারি গ্রামে বছরের এই সময়টাতে বসে বাইচ প্রতিযোগিতার আসর। গত ৭০ বছর ধরে এই প্রতিযোগিতা চলছে। এই প্রতিযোগিতাকে ঘিরে সরগরম থাকে গোটা গ্রাম। নৌকার দৌড় দেখতে দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন। কুলতলি, জয়নগর থেকেও প্রতিযোগীরা অংশ নেন। গ্রামের ধার দিয়ে বয়ে গিয়েছে, ঠাকুরান খাল। সেই খালে গোটা ছ’য়েক নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। মঙ্গল ও বুধবার, দুদিন ধরে চলছে বাইচ প্রতিযোগিতা।
বছরের এই সময়টাতে মাঠে ধান রোয়ার কাজ মিটে যায়, ফলে খানিক ফুরসৎ থাকে। ক্যানিংয়ে এই সময়টাতে অবসর বিনোদন বা মনোরঞ্জনের জন্য বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। স্বাধীনতার কয়েকবছর পর থেকে এই প্রতিযোগিতা চলে আসছে। রাঙামারি ও গোবরামারি গ্রামের মানুষ চাঁদা তুলে বাইচের আয়োজন করে। নৌকা দৌড় দেখতে খালের দু’পাড়ে অসংখ্য মানুষ ভিড় করেন। বাইচ প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে ঠাকুরান খালের ধারে কার্যত মেলার বসেছে। হরেক রকমের দোকান বসেছে। ক্যানিং থানা বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করেছে।
আয়োজক কমিটির তরফে জানা গিয়েছে, সাতটি নৌকা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতি নৌকায় আটজন খেলোয়ার থাকেন। প্রথমে লিগ পয়েন্টের খেলা। তারপর ফাইনাল। দৌড়ের প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার এবং দ্বিতীয় পুরস্কার আট হাজার টাকা। প্রতিযোগিতা ঘিরে গ্রামে উৎসবের আবহ। পড়ুয়াদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ। বাড়ির মেয়ে-বউরা তড়িঘড়ি রান্না সেরে দুপুর থেকে খাল ধারে ভিড় করেন।