কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

রাজ্যপালের ইগো সন্তুষ্টির জন্যই JU-তে ISRO? প্রশ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেই

September 7, 2023 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসের অন্দরে ছাত্র-ছাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইসরোকে ডেকে এনেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকশন প্রযুক্তি নিয়ে কথা হচ্ছে ইসরোর বিজ্ঞানীদের সঙ্গে, এমন খবর শোনা যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, এ ধরনের প্রযুক্তি স্থাপনের জন্য ইসরোর মতো সংস্থার কী প্রয়োজন! অনেকেই বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরোকে নিয়ে এসে নিজের ইগো সন্তুষ্টি ঘটাচ্ছেন রাজ্যপাল। আদপে এটা চমক বই আর কিছুই না, এমনই কথা ভাসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। উল্লেখ্য, যে’সব প্রযুক্তির কথা হচ্ছে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে চলেছেন যাদবপুরের অধ্যাপকরা।

অধ্যাপকদের বক্তব্য, ইসরো নানা প্রকল্পের ক্ষেত্রে, এমনকী মহাকাশযানের ল্যান্ডার প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহায্য নেয়। অধ্যাপকরা সাহায্য করেনও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে ইসরোর শীর্ষকর্তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও মোদী সরকারের কারণে ইসরোর বিজ্ঞানীদের ছুটে আসতে হয়েছে। মঙ্গল ও বুধবারও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা, হস্টেল ঘুরে দেখেন তাঁরা। ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলি-কমিউনিকেশনস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক অমিত কোনার তাঁদের সঙ্গে থাকছেন। তিনিই জানান, প্রাথমিকভাবে এআই এবং আরএফআইডি নিয়ে তাঁদের কথা হয়েছে। যদিও কোনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।

প্রসঙ্গত, আজ থেকে আড়াই দশক আগে অধ্যাপক অমিত কোনার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং মানবমস্তিষ্কের সম্পর্ক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বই লিখেছেন। ২০০৫ সালে তাঁর লেখা বই কম্পিউটশনাল ইন্টেলিজেন্স আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রশংসিত হয়েছিল। কম্পিউটার সায়েন্সের আরেক অধ্যাপক শুভদীপ বসু ইমেজ প্রসেসিং, বায়ো-ইনফরম্যাটিক্স, অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রেকগনিশনের মতো প্রযুক্তি নিয়ে উচ্চ মানের গবেষণা করেছেন। এই অধ্যাপকরাই কাজগুলি করতে পারতেন। সেখানেই ইসরোর আগমণের যৌক্তিকতা ঘিরে উঠছে প্রশ্ন। ইসরো এখন শুধুমাত্র সমীক্ষা করছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Jadavpur, #ISRO, #jadavpur university, #C. V. Ananda Bose

আরো দেখুন