অনলাইনে দেদার বিকোলো তালের বড়া, জন্মাষ্টমীতে লক্ষ্মীলাভ গৃহবধূদের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বুধবারের পাশাপাশি আজ, বৃহস্পতিবারেও জন্মাষ্টমী পালিত হচ্ছে বাড়িতে বাড়িতে। জন্মাষ্টমীতে তালের চাহিদা থাকে বিস্তর। ভগবান শ্রীকৃষ্ণর জন্মদিন পালনে তাল থেকে তৈরি বিভিন্ন মিষ্টির চাহিদা থাকে তুঙ্গে। তালের বড়া, ক্ষীর ইত্যাদি বানানোর জন্য যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হয়। আজকের ব্যস্ত জীবনে অনেকেরই এতো পরিশ্রম করার সময় ও ধৈর্য থাকে না। তাল থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বড়া, ক্ষীর, পায়েসের মতো হরেক মিষ্টির পদ তৈরি করা সত্যিই মুশকিল। কিন্তু সেই সমস্যার সমাধান করে ফেলেছেন মালদহের গৃহবধূদের একাংশ। তালের মিষ্টি বানিয়ে তা সুলভ মূল্যে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন তাঁরা। সমাজ মাধ্যমেই বিক্রেতা ও ক্রেতাদের পরিচয় হয়েছে। লক্ষ্মীলাভ হয়েছে গৃহবধূদের, পাশাপাশি তালের বিভিন্ন মিষ্টি দিয়ে গোপালের ভোগ নিবেদন করতে পেরে খুশি ক্রেতারা।
তালের বড়ার পাশাপাশি এখন তাল ক্ষীর, তালসন্দেশ, তালের পায়েস, তালের পাটিসাপটা ইত্যাদির চাহিদা বেড়েছে। তালের শাঁস ব্যবহার করে তা দিয়ে এ সব বানানো খুব সহজ কাজ নয়। অনেকেই সময়ের অভাবে সব বানিয়ে উঠতে পারেন না।
অন্যদিকে, বেশ কয়েকজন গৃহবধূ তাল থেকে বিভিন্ন মিষ্টি তৈরি করতে নেমে পড়েছেন। ফেসবুকের মতো সমাজমাধ্যমকে ব্যবহার করে তাঁরা নিজেদের তৈরি বিভিন্ন তালের মিষ্টির কথা সকলকে জানিয়েছেন। নিজেদের যোগাযোগের নম্বর এবং মিষ্টিগুলির মূল্যও জানিয়েছেন। এরপরই ক্রেতারা যোগাযোগ করতে আরম্ভ করেন। নিজেদের নাম ঠিকানা জানিয়ে পছন্দের তাল থেকে তৈরি মিষ্টি চেয়ে পাঠিয়েছেন তাঁরা। নির্দিষ্ট সময়ে পেয়েও গিয়েছেন।
তালের মিষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে তৈরি খাঁটি ঘি, জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে তৈরি করা নিরামিষ কেক, পনীর থেকে ছানার পায়েস ইত্যাদি বিক্রি করেও লক্ষ্মীলাভ করেছেন অনেকেই। মালদহের খাদ্যরসিকদের একটি বিশেষ গ্রুপ রয়েছে ফেসবুকে। ওই গ্রুপে রন্ধন পটীয়সীদের সঙ্গে সঙ্গে অসংখ্য উৎসাহী ক্রেতাও আছেন। ওই গ্ৰুপের মাধ্যমেই একের সঙ্গে অপরের যোগসূত্র গড়ে উঠেছে। বিক্রেতারা বলছেন, অনেকেই কিনতে চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে অর্ডার দেন। উপার্জনের পাশাপাশি ক্রেতাদের প্রশংসা পেয়ে খুশি বিক্রেতারা।