দেশ বিভাগে ফিরে যান

দেশের প্রত্যেকটা শহর, জনপদ, গ্রাম, পাড়া ছেয়ে গিয়েছে বিষ জাল ওষুধে

September 8, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে গিয়েছে জাল ওষুধ। দেশের প্রত্যেকটা শহর, জনপদ, গ্রাম, পাড়ায় ছেয়ে গিয়েছে এর বিষ। কোথাও বেশি, আর কোথাও কম। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন একের পর এক অভিযান চালিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জাল ওষুধের বিপুল সম্ভার বাজেয়াপ্ত করেছে। আর তার থেকেই জানা যাচ্ছে, সীমান্ত পেরিয়ে জাল ওষুধের চোরাচালান এখন সবথেকে বড় পণ্যপাচার ব্যবসায় পরিণত। সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে।

পাঁচটি দেশি-বিদেশি ওষুধ সংস্থা অভিযোগ করেছিল, তাদের ব্র্যান্ডের ওষুধ জাল হচ্ছে এবং বিভিন্ন শহর ও প্রধানত গ্রামীণ এলাকার ডিসপেনসারিতে তা বিক্রিও হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ওই রিপোর্ট যাওয়ার পর বিএসএফ এবং এসএসবির সঙ্গে কথা বলেছে মন্ত্রকের বর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগ। জাল ওষুধের কারবার বন্ধে এবং তার বিপদ থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে লাগাতার অভিযান চালাতে চাইছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের মতোই একটি বৃহত্তর টাস্ক ফোর্স গঠনের কথা ভাবছে কেন্দ্র। ২০১২ সালে শেষবার জাল ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছিল। এবার কিন্তু বিপদ আরও বেশি। বিএসএফ, এসএসবি, স্বাস্থ্যমন্ত্রক ছাড়াও ওই টাস্ক ফোর্সে অন্তর্ভুক্ত করা হবে রাজ্য সরকারগুলিকে।

অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টাসিড, পেইনকিলার এবং প্যারাসিটামল—মূলত এই ধরনের ওষুধগুলিই জাল হয়ে ছেয়ে ফেলছে বাজার। আরও উদ্বেগজনক হল, চোরাপথে ঢুকছে সার্জারির উপকরণও। কয়েক মাস আগেই অন্তত ৭৬টি দেশীয় ওষুধ উৎপাদনকারী সংস্থা ও কারখানাকে চিহ্নিত করে তাদের লাইসেন্স বাতিল করেছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। জানা গিয়েছে, জাল নোট, সোনাপাচারকে পিছনে ফেলে দিয়েছে জাল ওষুধের চোরাচালান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট, প্রধানত মায়ানমার, বাংলাদেশ, নেপাল থেকেই ভারতে ঢুকছে জাল ওষুধ। ওই দেশগুলির সীমান্তবর্তী জনপদে জাল ওষুধ একপ্রকার ক্ষুদ্র শিল্প।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#India, #fake medicines

আরো দেখুন