কলম্বোয় পাকিস্তানের বোলারদের কার্যত দুরমুশ করলেন কোহলি-রাহুল
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: তাঁকে নিয়ে ইদানিং সমোলচনায় সরব হয়েছিলেন অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার-বিশেষজ্ঞরা। সব জবাব সম্ভবত ব্যাট হাতে সোবমার দিলেন কে এল রাহুল। দীর্ঘদিন চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন কেএল রাহুল)। এশিয়া কাপের সুপার ফোরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামলেন তিনি। নেমেই দুরন্ত সেঞ্চুরি করলেন তিনি। শুধু তাই নয় শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে গেলেন। ১২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০৬ বলে ১১১ রান করে নট-আউট থাকলেন তিনি।
সোমবার কে এল রাহুলের মতো বিরাট কোহলিরও দিন ছিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সুপার ফোরে স্বমহিমায় বিরাট কোহলি। এদিন ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৮৪ বলে ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন বিরাট কোহলি। ৪৭.৩ ওভারে শাহিন আফ্রিদির বলে ১ রান নিয়ে তিন অঙ্কের রানে পৌঁছে যান কোহলি। পাশাপাশি ১৩ হাজার রানের মাইলস্টোন টপকে সচিনের দুরন্ত বিশ্বরেকর্ড ভেঙে দিলেন তিনি। এক দিনের ক্রিকেটে দ্রুততম ১৩ হাজারের রেকর্ড গড়লেন তিনি। রান এদিন তিনি ৯টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৯৪ বলে ১২২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকলেন।
রবিবার ভারতীয় ইনিংসের মাঝপথে বৃষ্টি নামে। ফলে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। সোমবার রিজার্ভ ডে-তেও নির্বিঘ্নে ম্যাচ আয়োজন নিয়ে সংশয় থেকেই গিয়েছে। কেননা কলম্বোয় বৃষ্টির লুকোচুরি চলছে সকাল থেকেই। শেষমেশ বৃষ্টির বাধা টপকে পুনরায় ম্যাচ শুরু হয় ৪টে ৪০ মিনিটে। এরপরই পাক বোলারদের কার্যত দুরমুশ করলেন কোহলি-রাহুল। ৫০ ওভারে ভারত ২ উইকেটের বিনিময়ে শেষ করল বিনিময়ে ৩৫৬ রানে। রবিবার কলম্বোয় শাহিন আফ্রিদিদের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেছিল ভারতীয়রা। শুভমন গিলের সঙ্গে প্রথম উইকেটের জুটিতে রোহিত তুলেছিলেন ১২১ রান। রোহিত করেছিলেন ৪৯ বলে ৫৬ রান। মারেন ছ’টি বাউন্ডারি এবং চারটি ছক্কা। অন্য দিকে শুভমন ১০টি চারের সাহায্যে ৫২ বলে করেন ৫৮ রান।