আরও একটা জি-২০? ২৪শে বিশ্বগুরু সাজতে মরিয়া মোদী?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সবে মাত্র শেষ হয়েছে জি-২০ কিন্তু মোদী জিইয়ে রাখতে চাইছেন জি-২০-কে। একটি জি২০-তে তিনি সন্তুষ্ট নন। একটি সম্মেলন আয়োজন করে এখনও তাঁর বিশ্বগুরু হয়ে ওঠার প্রক্রিয়াটা নাকি সম্পূর্ণ হয়নি। তাই বেনজিরভাবে ফের জি-২০, আয়োজন করতে মরিয়া তিনি। তাও দু’মাসের মধ্যেই।
নয়াদিল্লির সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণার পরই রবিবার তিনি প্রস্তাব করলেন, ফের জি-২০ হোক। তবে এবার ভার্চুয়াল। মোদীর বক্তব্য, দিল্লির সম্মেলনে যে’সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সেগুলির বাস্তবায়ন নিয়ে সমীক্ষা দরকার। সে’জন্য নাকি ফের একটি বৈঠক দরকার। প্রসঙ্গত, কোনও সর্বোচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত বা প্রস্তাবের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সমীক্ষা অন্ততপক্ষে এক বছর পর, পরবর্তী বৈঠকে করা হয়। প্রশ্ন উঠছে, কেন দু’মাসের মধ্যে সমীক্ষা করতে হবে? হঠাৎ কী এমন প্রয়োজন পড়ল? বিরোধীদের অভিযোগ, দেশের একগুচ্ছ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে মোদী বিধানসভা ভোটের ডাক দিলেন। বছর ঘুরতেই লোকসভা নির্বাচন। বিশ্বগুরু ভাবমূর্তি তৈরি করতে মরিয়া মোদী। তিনি ও তাঁর দল চাইছে বিশ্বগুরু ইমেজ যতদিন সম্ভব টিকিয়ে রাখা যায়।
জি-২০’র নিয়ম অনুযায়ী, পরের বছর যেখানে সম্মেলন হবে, সেই রাষ্ট্রের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতিত্ব তুলে দেবে সমাপ্ত হতে চলা সম্মেলনের নেতৃত্বে থাকা দেশ। রবিবার মোদী সভাপতিত্বের প্রতীক হাতুড়ি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাশিও লুলা ডা সিলভার হাতে তুলে দিয়েছেন। কিন্তু তারপরই আচমকা ঘোষণা করলেন, ভারতের সভাপতিত্ব সমাপ্ত হতে এখনও আড়াই মাস বাকি। তাই আরও একটি সম্মেলন নাকি করা উচিত। সেখানেই যাচাই করা হবে, গৃহীত সিদ্ধান্ত কতদূর বাস্তবায়িত হল।
জি-২০-কে হাতিয়ার করে মোদী গত দু’বছর ধরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের ভাবমূর্তি তৈরি করে যাচ্ছেন। ২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে সম্মেলন হয়েছিল। ২০২৪-এ ব্রাজিলে হবে। ২০২৫-এ দক্ষিণ আফ্রিকায়, এটাই জি-২০-র রুটিন কর্মসূচি। কিন্তু বিজেপি এবং মোদী সরকার এমনভাবে প্রচার করেছে যেন, এই প্রথম স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর এত বড় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করল ভারত। মোদীর জন্য তা সম্ভব হল। ভোট প্রচারে জি-২০-র সাফল্যকে হাতিয়ার করাই, মোদীর লক্ষ্য।