১৯টি রুটে সরকারি বাস এবার চলবে বেসরকারি উদ্যোগে, ভাড়া অপরিবর্তিত থাকবে?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পরিবহণ দপ্তরের বিভিন্ন ডিপোয় পড়ে থাকা সরকারি বাসের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সরকারি ডিপোয় পড়ে থেকে থেকে নষ্ট হচ্ছে সেই সব বাস। এ বার পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে সেই বাসগুলি চালানোর বিষয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহণ দপ্তর।
বাম জমানায় পিপিপি মডেলে দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগম, কলকাতা স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন, ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের কিছু বাস ফ্র্যানচাইজির মাধ্যমে চালানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে সাফল্যের মুখ দেখেনি পরিবহণ দপ্তর। এবার ফের নতুন করে এই উদ্যোগ শুরু হল।
কর্মী সংকোচন, জ্বালানির চড়া দাম এবং রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত খরচের ত্র্যহস্পর্শে সরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা কার্যত ধুঁকছে। দীর্ঘদিন ভাড়া বৃদ্ধি না হওয়ায় টিকিট খাতে আয় তলানিতে ঠেকেছে, যার জেরে বহু রুটে বাস চালিয়ে রীতিমতো লোকসান হচ্ছে সরকারের। ফলস্বরূপ রাস্তা থেকে সরকারি বাস ক্রমেই উধাও হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অলাভজনক সরকারি বাস রুটগুলিকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার, যাতে সরকারি ডিপোতে বসে না থেকে বাসগুলি রাস্তায় নামে। লক্ষ্য হল, একাধিক আর্থিক দায়ভার ঝেড়ে ফেলে পরিবহণ দপ্তরের সার্বিক আয় বৃদ্ধি। সেই লক্ষ্যে সম্প্রতি ট্রাম কোম্পানি, সিএসটিসি এবং ভূতল পরিবহণ (ডব্লুবিটিসি) নিগমের ১৯টি রুটের ৪০টি সরকারি বাসকে বাছাই করা হয়েছে। বাসরুটগুলির বেসরকারিকরণে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। তাতে প্রায় আটটি আগ্রহী সংস্থা এই বাসগুলিকে চালাতে আগ্রহ দেখিয়েছে। সূত্রের দাবি, এই পর্যায়ে সাফল্য মিললে আগামী দিনে আরও বড় মাপের বেসরকারিকরণের পথে এগবে সরকারি পরিবহণ দপ্তর।
জানা যাচ্ছে, পাশাপাশি বাসগুলি ব্যক্তি কিংবা মালিকদের হাতে গেলেও যাত্রী স্বার্থ রক্ষার্থে সুনির্দিষ্ট শর্ত চাপানো হয়েছে পরিবহণ দপ্তরের তরফে। এর মধ্যে অন্যতম হল, সরকারি বাসের হারেই ভাড়া আদায় করতে হবে। মাসে ৩০ দিনের মধ্যে অন্তত ২৬ দিন বাসগুলি রাস্তায় নামাতে হবে। তার কম চললে প্রতি বাসে দিনপিছু ৫০০ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে।