বিক্ষোভে দিশেহারা বঙ্গ BJP? দিলীপের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে তুঙ্গে জল্পনা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: একদিকে লাগাতার হার, অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ কোন্দল; এই দুইয়ে কার্যত জেরবার বঙ্গ বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকারকে তালাবন্দি করে রাখা বা পার্টি অফিসে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভ, লোকসভা নির্বাচন যত এগোচ্ছে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বঙ্গ বিজেপির কোন্দল। নেতৃত্বর প্রতি ক্ষোভ এবং অসন্তোষ ক্রমশ ঘনিভূত হচ্ছে। নেতৃত্বের একদলের সাফ অভিযোগ, নিচুতলার কর্মীদের ক্ষোভ মেটানোর কোনও দায়িত্বই নিচ্ছে না দলের ভারপ্রাপ্ত শীর্ষ নেতারা। এবার বঙ্গ বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেললেন দলের সাংসদ তথা পূর্বতন রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার দিল্লিতে বসে তিনি বললেন, নানান ইস্যুতে দলের অন্দরে ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন সময় গোলমালের সৃষ্টি হচ্ছে।
দিলীপের এহেন মন্তব্যকে ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। চলতি বছর পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে নিয়ে বেশ চিন্তা গেরুয়া শিবির। বুধবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রধানত মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ের প্রার্থী তালিকা নিয়ে বৈঠক করেছে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি। সেই বৈঠকে যোগ দিতে দলীয় কার্যালয়ে এসেছিলেন মোদী। বঙ্গ বিজেপির লাগাতার অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দিল্লির নেতারা বিরক্ত। দিলীপ ঘোষ বলেছেন, বিজেপিতে হয়ত ভিতরে ভিতরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দানা বাঁধছে। তাই গোলমাল হচ্ছে। সিনিয়র নেতাদের অবিলম্বে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত। কথাবার্তার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হবে। পরিবারেও তাই হয়, রাজনৈতিক দলেও তাই হবে।
রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির মন্তব্যকে মোটেও লঘু করে দেখতে চাইছে না গেরুয়া শিবির। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, বিজেপির দিকে যে ভোট এসেছিল, তা অন্যদিকে চলে গিয়েছে। দলের চিন্তিত হওয়ার কারণ রয়েছে।