ফৌজদারি আইনের বদল নিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১৮৬০ সালের ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’, ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর কোড’ এবং ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ বদলে হতে চলেছে ভারতীয় ন্যায়সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য। সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বিল তিনটি পেশ করেন। পরে তিনটি বিলই স্ট্যান্ডিং কমিটির বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়।
কিন্তু দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার আইনের পরিবর্তন নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সামনে যে তালিকা রাখা হয়েছে তা নিয়ে অখুশি বিরোধীরা। এবার তারা ১৬ জন বিশেষজ্ঞের একটি তালিকা দিল। যাদের মধ্যে রয়েছেন প্রবীণ আইনজীবী ফলি এস নারিম্যান, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মদন লকুর।
এছাড়াও বিরোধীরা পরামর্শ দিয়েছিল, নতুন আইনের বিষয়গুলি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য যে বিশেষজ্ঞদের ডাকা হচ্ছে তাদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের বিচারক, বার কাউন্সিলের সদস্য, আইনবিদ, কারাগারের কর্মকর্তা, সমাজ কর্মী, জাতিগত ও ধর্মীয় নেতাদের পাশাপাশি সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞদেরও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
এই সংসদীয় কমিটির সদস্য এক বিরোধী সাংসদ উল্লেখ করেছেন যে যাচাই-বাছাইয়ের বর্তমান গতির উপর ভিত্তি করে, প্রস্তাবিত তিনটি আইনে পরিবর্তন আনতে কমপক্ষে দেড় বছর সময় লাগবে। ওই সাংসদ আরও বলেন, এই আইনগুলি দরিদ্র থেকে দরিদ্রতমদের উপর প্রভাব ফেলবে এবং তারপরও আমরা যথাযথ মনোযোগ না দিয়েই আইনগুলি পরিবর্তন করতে যাচ্ছি, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
এর পাশাপাশি বিরোধী সাংসদরা নতুন বিলের কিছু দিককে স্বাগতও জানিয়েছে, যেমন শূন্য এফআইআরের বিধান এবং অভিযোগ দায়ের করা থেকে তার নিষ্পত্তি পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনে সম্পন্ন করার বিষয়গুলি।
এর আগে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের বক্তব্য রাখার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না এবং সংসদের কার্যবিবরণী রেকর্ড করার পদ্ধতি নিয়েও অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, বুধবার সংসদীয় কমিটির ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার আইনের পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ক বৈঠকে বিরোধী দলের দুই সাংসদ বক্তব্য রাখেন এবং প্যানেলের পরবর্তী বৈঠকে আরও একজন সাংসদকে তাঁর বক্তব্য রাখার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে।
স্থায়ী কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে এবং বিলগুলো সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে পেশ করতে হবে। এই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য ব্রিজ লালকে।