এশিয়ার সবথেকে পুরনো এপিস্কোপাল গির্জার গোড়ার দিকে কাহিনি জানেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কলকাতায় চার্চ, ক্যাথিড্রালের কথা উঠলেই মনে পড়ে সেন্ট পলস-র কথা। সাদা রঙের এই পেল্লাই স্থাপত্যটি এ শহরের গর্ব। কলকাতার সবথেকে বড়ো ক্যাথিড্রাল এবং এশিয়ার সবথেকে পুরোনো এপিস্কোপাল গির্জা এটিই। ব্রিটেনের বাইরে ইংরেজ সাম্রাজ্যের প্রথম ক্যাথিড্রাল ছিল এটিই।
কলকাতায় সাহেবদের ভিড় বাড়ছিল, ইউরোপীয়দের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায় সেন্ট জনস গির্জার পর আরও একটি উপাসনালয়ের প্রয়োজন দেখা দেয়। ১৮১৯ সালে নতুন ক্যাথিড্রাল তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ক্যাথিড্রালটি কোথায় গড়ে উঠবে, তা ঠিক করেন বিশপ মিডলটন। কিন্তু নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার আগেই তিনি মারা যান। ১৮৩২ সালে বিশপ ড্যানিয়েল উইলসনের উদ্যোগে ক্যাথিড্রাল নির্মাণের প্রকল্প ফের গ্রহণ করা হয়। সেন্ট পলস গির্জার নকশা করেছিলেন উইলিয়াম ফোরবস। সিকে রবিনসন, গির্জার চূড়ার নকশা করতে ফোরবসকে সাহায্য করেছিলেন। ১৮৩৯ সালে গির্জার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় এবং ১৮৪৭ সালের ৮ অক্টোবর জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় গির্জাটি। সেদিন মানপত্র পাঠিয়েছিলেন সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়া।
গির্জার ভূগর্ভস্থ কক্ষে আজও ঘুমিয়ে আছেন বিশপ উইলসন, এখানেই তাঁকে সমাহিত করা হয়েছিল। স্থাপত্য, ভাস্কর্য ও অলংকরণ নিয়ে আজও কলকাতার বিস্ময় হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল।