উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

মেখলিগঞ্জে BSF-এর বিরুদ্ধে স্থানীয়দের হেনস্থার অভিযোগ এনে অবরোধে সামিল BJP-র জনপ্রতিনিধিরা

September 15, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সীমান্ত এলাকায় নিত্যদিন মানুষের উপর নানা ভাবে অত্যাচার চালায় বিএসএফ জওয়ানরা, এই অভিযোগ এনে মেখলিগঞ্জ-ধাপড়া রাজ্য সড়কের কাংড়াতলি গ্রামে অবরোধে সামিল হয় স্থানীয়রা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি’র দখলে থাকা বাগডোকরা ফুলকাডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অনিমা রায়, উপপ্রধান ধরেন্দ্র নাথ রায় সহ পঞ্চায়েতের সদস্যরাও।

জানা গেছে, মেখলিগঞ্জ ব্লকের ডাঙ্গারহাটের এক গৃহবধূ বিয়েতে দান হিসাবে পেয়েছিল দুটি বাছুর। বাছুর দুটি আনার জন্য প্রধানের সার্টিফিকেট নিয়ে সেখান থেকে টোটোতে করে ফিরছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময় কুচলিবাড়ির অর্জুন ক্যাম্পে তাঁকে আটকে দেয় বিএসএফ। দুই ঘন্টা আটকে রাখার পর ওই গৃহবধূ স্থানীয় প্রধান সহ জনপ্রতিনিধিদের ঘটনার কথা জানায়। তারপর প্রধান, উপপ্রধান সহ জনপ্রতিনিধি গিয়ে ওই গৃহবধূ ও বাছুর দুটিকে ছেড়ে দিতে বলেন বিএসএফ আধিকারিকদের। কিন্তু সেইসময় কর্তব্যরত বিএসএফের এক আধিকারিক জনপ্রতিনিধিদেরর হেনস্থা করে।এমনকি গুলি করে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।

এরই প্রতিবাদে বাগডোকরা ফুলকাডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ মানুষ বৃহস্পতিবার সকাল নটা থেকে কাংড়াতলিতে অবরোধ শুরু করেন। প্রায় তিন ঘন্টা অবরোধ চলার পর বিডিও ও পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয়রা।

পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, ‘গ্রামে এখনও বিয়েতে গোরু বা বাছুর দান করার রীতির প্রচলন রয়েছে। কিন্তু সেই দানের গোরু নিয়ে যেতে বাঁধা দিচ্ছে বিএসএফ।তাই তাঁরা বিডিওর লিখিত চান, যাতে ভবিষ্যতে এই সমস্যায় তদের পড়তে না হয়। অন্যদিকে উপপ্রধান বলেন, ‘আগের বোর্ডে দলে দলে গোরু যেত এই রাস্তা দিয়ে। সেই গোরু পাচার হত। পুলিশ ও বিএসএফ জানার পরও চুপ করে থাকতেন। আর এখন কেউ দানের গোরু বা দুধ খাওয়ার জন্য গাভি নিয়ে যেতে পারছে না।অথচ রাতের বেলায় গোরু পাচার হচ্ছে।’ পাশাপাশি এক অবরোধকারী বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই গাড়ি বোঝাই করে গোরু নিয়ে যায় পুলিশ। অথচ সাধারন মানুষ গোরু নিয়ে যেতে পারবেনা।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Harassment, #Mekhliganj, #complaint, #bjp, #BSF

আরো দেখুন