কুমোরটুলিতে এ’বছর বিশ্বকর্মার নয়, চাহিদা বেশি সিদ্ধিদাতার!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলায় একটি মজার কথা প্রচলিত রয়েছে, ‘গণেশ ঠাকুর হ্যাংলা, একবার আসেন মায়ের সঙ্গে, একবার আসেন একলা!’ কিন্তু বর্তমান সময়ে প্রবাদটি অর্থহীন হয়ে গেছে। এখন শয়ে-শয়ে গনেশ ঠাকুর আসছেন এবং একলা!
এর প্রমান মিলবে কুমোরটুলিতে ঢু মারলেই। এ’বছর কুমোরটুলির বিভিন্ন শিল্পীর ঘরে গিয়েও দেখা গেল, বিশ্বকর্মা প্রতিমার সংখ্যা কম। সেই তুলনায় কুমোরটুলি জুড়ে ছড়াছড়ি গণেশের। বিভিন্ন শিল্পীর ঘরে দেখা যায়, যেখানে বিশ্বকর্মা প্রতিমা রয়েছে ৫ ৭টি, সেখানে গণেশের সংখ্যা ২৫ ৩০টি করে।
অথচ গণেশ চতুর্থীর আগেই বিশ্বকর্মা পুজো! কিন্তু গেলেন কোথায় স্থাপত্যবিদ, দেবশিল্পী বিশ্বস্রষ্টা দেব বিশ্বকর্মা! কুমোরটুলির শিল্পীরা বলছেন, ছোটখাট অনেক কলকারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কারণে মাটির প্রতিমার বদলে বিশ্বকর্মার ফটো এনে পুজো করা হচ্ছে। ফলে প্রতিমার বায়নাও কমেছে। শিল্পী সমর পাল বলেন, বিভিন্ন প্রতিমা দু’ একটা অতিরিক্ত করা হয়ে থাকে। কিন্তু পটুয়াপাড়ার কোনও শিল্পীই অতিরিক্ত বিশ্বকর্মা ঠাকুর তৈরি করেন না। যে ক’টি হাতে গোনা বায়না মেলে, কেবলমাত্র সেই সংখ্যক ঠাকুরই তৈরি করা হয়ে থাকে। শিল্পী অসীম পাল, গোপাল পালদের বক্তব্য, এবার গণেশের বায়না ভালো হওয়ায় প্রথম থেকে তা নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। শেষ দিকে বিশ্বকর্মার বায়না এসেছে। আমরা তা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাইনি। কারণ যাতে লাভের মুখ দেখতে পাব না, তা নিয়ে তো আমাদের মাথা ঘামিয়ে কোনও লাভ নেই।
এ’বছর কুমারটুলিতে ঢুকতেই যেটা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়বে সেটা হল, অসংখ্য গণেশ মূর্তি! পটুয়াপাড়ার রবীন্দ্র সরণি, বনমালি সরকারি স্ট্রিট, কুমোরটুলি স্ট্রিট সহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় ঘুরে দেখা যায় সেখানে বিশ্বকর্মা সংখ্যায় কম। পুরো কুমোরটুলিজুড়ে কেবলই সিদ্ধিদাতার সমাহার! আর তার অনেক গুলিই কিন্তু বিশালাকৃতির!