এসি বাসে চেপে দুর্গা ঠাকুর দেখার বিশেষ ব্যবস্থা করছে পর্যটন দপ্তর
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ইউনেস্কোর ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’, যার বাংলা করা যেতে পারে অস্থাবর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, তার তালিকায় ঢুকে পড়েছে কলকাতার দুর্গাপুজো। বাঙালির শ্লাঘায় বড়সড় সংযোজন। করোনা পরবর্তিকালে এবার সেই দুর্গা ঠাকুর শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বাসে করে দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে রাজ্য পর্যটন দপ্তর। এর মাধ্যমে কলকাতার বড় বড় প্যান্ডেল থেকে শুরু করে বনেদি বাড়ির পুজোগুলি ভিড় এড়িয়ে দেখার সুযোগ পাবেন ইচ্ছুকরা। ২০২০ সালের পর এত বৃহৎ আকারে এই উদ্যোগ প্রথম নেওয়া হচ্ছে। বিদেশি এবং অন্য রাজ্যের পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য মূলত এই উদ্যোগ।
পর্যটন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘উদ্বোধনী’, ‘সনাতনী’ এবং ‘হুগলি সফর’ এই তিনটি প্যাকেজ থাকছে। মানুষ নিজের পছন্দ অনুযায়ী যে কোনও প্যাকেজ বেছে নিতে পারবেন। কলকাতার পাশাপাশি হুগলি জেলার বেশ কয়েকটি শতাব্দী প্রাচীন পুজো দেখতে হুগলি সফর প্যাকেজ করা হয়েছে। বিবাদী বাগে পর্যটন কেন্দ্র থেকে সকাল সাড়ে সাতটায় যাত্রা শুরু। প্রথমে শ্রীরামপুর গোস্বামী বাড়ি। সেখান থেকে একে একে বুড়ি দুর্গা, ১০৫ বছরের শেওড়াফুলি সুরেন্দ্রনাথ ঘোষের বাড়ির পুজো, ৩০০ বছরের শেওড়াফুলি রাজবাড়ির পুজো দেখে হংসেশ্বরী মন্দির, অনন্ত বাসুদেবের টেরাকোটার মন্দির, ৫৬২ বছরের দুর্গাবাড়ির পুজো, গুপ্তিপাড়া সেন বাড়ি সহ আরও নানান জায়গা ঘুরে রাত সাড়ে আটটায় কলকাতায় ফেরা। সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীর তিনদিন হবে সফর।
এর জন্য জনপ্রতি খরচ জানা যাবে ২৬ সেপ্টেম্বর। বিবাদী বাগে পর্যটন কেন্দ্রের অফিসে গিয়ে বা অনলাইনের মাধ্যমে সিট বুক করার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।