সাবধান! একটু অসতর্ক হলেই ব্যান হয়ে যেতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিগত কয়েক বছরে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের সবথেকে জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে উঠে এসেছে WhatsApp। সারা বিশ্বের প্রায় ২০০ কোটি গ্রাহক হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন, যার মধ্যে শুধুমাত্র ভারত থেকেই রয়েছেন প্রায় ৪০ লক্ষ গ্রাহক। সব বয়সী ব্যবহারকারী আছে প্ল্যাটফর্মটিতে। ব্যক্তিগত, অফিসিয়াল, গ্রুপ চ্যাট, অডিও-ভিডিও কলে সারাক্ষণ যুক্ত থাকছেন হোয়াটসঅ্যাপে। ছবি পাঠানো বা ছোট বড় ফাইল পাঠাতে নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। তাই, এই প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার থেকে সাবধান থাকা জরুরি। অকারণে ভুয়ো মেসেজ পাঠালে আপনার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হতে পারে। হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে শর্তাবলী না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এখন তো ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে আরও কড়াকড়ি।
জেনে নিন কী কী কারণে আপনার অ্যাকাউন্টটি ব্যান হয়ে যেতে পারে-
অপরাধমূলক মেসেজ পাঠালে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট চিরতরে নিষিদ্ধ হতে পারে।
অন্য কারও নাম করে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করলেও আপনার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হতে পারে।
আপনার কন্ট্যাক্ট লিস্টে নেই, এমন মানুষকে একসঙ্গে অনেক মেসেজ পাঠালে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হতে পারে। বাল্ক মেসেজিংয়ের রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ।
কেউ যদি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপে একটি বার্তা পান যে তাদের অ্যাকাউন্ট ‘সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ’, তাহলে তিনি হয়তো হোয়াটসঅ্যাপের একটি আনঅফিসিয়াল সংস্করণ ব্যবহার করছিলেন এবং এমন তথ্য সংগ্রহ করছিলেন যাকে স্ক্র্যাপিং বলা হয়। কিছু সময়ের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ার পরে সেই ইউজারকে হোয়াটসঅ্যাপের অফিসিয়াল অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। তিনি যদি এটি না করেন, তাহলে তার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট চিরতরে ব্যান হয়ে যেতে পারে। তাই আনঅফিসিয়াল অ্যাপ ব্যবহার করবেন না।
যদি আপনার ব্লক লিস্ট বড় থাকে। অর্থাৎ এক নাগাড়ে অসংখ্য মানুষকে ব্লক করে দিতে থাকেন তাহলেও সমস্যা। কনট্যাক্ট লিস্টে থাকুক বা না থাকুক, প্রচুর পরিমাণে অ্যাকাউন্টকে ব্লক করে দিলেও কিন্তু নিষিদ্ধ করে দেওয়া হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ।