আজ শুরু বিশেষ অধিবেশন, ‘INDIA’-র কোন কোন প্রশ্নে উত্তাল হতে পারে সংসদ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আজ থেকে সংসদে শুরু ৫ দিনের বিশেষ অধিবেশন। যা চলবে ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার পর্যন্ত। এই অধিবেশনে কী কী হবে? এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই একটি সম্ভাব্য তালিকা প্রকাশ করেছে। বুলেটিন প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ১৭তম লোকসভার ত্রয়োদশ অধিবেশন। ভারতীয় সংসদের ৭৫ বছরের যাত্রী নিয়ে আলোচনা হবে উভয় কক্ষে। শেষবারের মতো বর্তমান ভবনে বসবে সভা। আগামী কাল ১৯ সেপ্টেম্বর গণেশ চতুর্থীর দিন থেকে নতুন সংসদ ভবনে হবে বাকি অধিবেশন।
এটা কি আদৌ সংসদের বিশেষ অধিবেশন নাকি নিয়মমাফিক অধিবেশন? সর্বদলীয় বৈঠকেও বিরোধীদেরর সংশয়ের অবসান হলো না। উল্টে সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠে এল বিরোধী জোট INDIA শিবিরে। বিরোধীদের প্রশ্ন বিশেষ অধিবেশন যদি না হয়, তাহলে কেন নেই প্রশ্নোত্তর পর্ব? কেন হবে না জিরো আওয়ার? তবে কি সরকারের আস্তিনে কোনও গোপন এজেন্ডা রয়েছে? কেন ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সব সাংসদদের গ্রুপ ফটো তোলা হবে? তবে এটাই কী শেষ অধিবেশন?
রবিবার আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধীদের গুচ্ছ প্রশ্নে একরকম নীরবই থাকলেন সরকারের প্রধান প্রতিনিধি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি। সরকারের এই নিশ্চুপ অবস্থান রহস্য বাড়াচ্ছে। অন্য দিকে আজ সংসদে বিরোধীদের অবস্থান কী হবে, তার স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে আজ সকালে সংসদ ভবনে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গের কক্ষে বৈঠকে বসেছিল INDIA-র সংসদীয় দলের নেতারা।
এদিনের সর্বদলীয় বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, ৫ দিনের অধিবেশনে দেশের সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হোক। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মূ্ল্যবৃদ্ধি, চীনের আগ্রাসন, বেকারত্ব, কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক সম্পর্কের মতো ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে হবে। শুধু সরকারের এজেন্ডাতেই সংসদ চলে না। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন দাবি করেছেন, সরকারি এজেন্ডার বাইরে মহিলা সংরক্ষণ বিল আনতে হবে। আলোচনা করতে হবে রাজ্যের বকেয়া ইস্যুতেও।
জানা গিয়েছে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য প্যানেল গঠন সংক্রান্ত বিল উত্থাপিত হতে চলেছে সংসদে। সেই বিলে নির্বাচন কমিশনার বেছে নেওয়ার প্যানেল থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়া হতে পারে। ফলে বিলটি আইনে পরিণত হলে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে দেশের প্রধান বিচারপতির আর কোনও ভূমিকা থাকবে না। তাই বিলের বিরোধিতায় সরব বিরোধীরা। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন এই বিল? এটি সংবিধানের পরিপন্থী।