বাংলার দুগ্গা পুজো: শান্তিপুরের শতাব্দী প্রাচীন বড় গোস্বামী বাড়ির পুজোর ইতিহাস
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: তাঁতের শহর শান্তিপুরে ছড়িয়ে রয়েছে সুপ্রাচীন দুর্গাপুজোর ইতিহাস। এখানে গোস্বামী বাড়িগুলি ঘিরে রয়েছে দুর্গাপুজোর নানা লোককথা।
শান্তিপুরের শতাব্দীপ্রাচীন বড় গোস্বামী বাড়ির দুর্গাপুজো। এখানে দেবীকে বলা হয় কাত্যায়নী। কবে থেকে এই পুজোর সূচনা হয়েছিল তা জানা না গেলেও অদ্বৈত আচার্যের সময় থেকেই এই পুজোর প্রচলন বলে মনে করা হয়।
বৈষ্ণব মতে দেবী দুর্গার হাতে এখানে কোনও অস্ত্রদ্বারা সজ্জিত করা হয় না। ১০ হাতের মধ্যে ৮ হাত ছোট এবং ২ হাত বড়। হাতগুলি এখানে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। লক্ষ্মী গণেশ কার্তিক সরস্বতীর ছবি থাকে। দেবীর সাথে শ্বেতবর্ণ সিংহ দেখতে পাওয়া যায়।
কথিত আছে, এই গোস্বামী বাড়ির প্রায় কয়েক শতাব্দী প্রাচীন একটি কৃষ্ণের বিগ্রহ চুরি যায়। পরিবারের সকলে চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বহু খোঁজাখুজির পর মূর্তি না পেয়ে বাড়ির মহিলারা শুরু করেন কাত্যায়নী ব্রত। ব্রতের ৩দিনের মাথায় স্বপ্নাদেশ দেন দেবী। তিনি বলেদেন শান্তিপুর থেকে কিছুটা দূরে নগরের মধ্যে রয়েছে এই মূর্তি। পরিশেষে পরিবারের লোকেরা গিয়ে উদ্ধার করেন বিগ্রহটি।
জানা গিয়েছে, পুরাণে কথিত আছে, চুরি হওয়া জিনিস উদ্ধার করতে গেলে কাত্যায়নী ব্রত করার প্রয়োজন। সেই অনুযায়ী বাড়ির মহিলারা এই ব্রত শুরু করেন এবং শুরু করার পরেই মূর্তিটি ফিরে পান। এর পর থেকেই এ বাড়িতে শুরু হয় কাত্যায়নী দুর্গাপুজো।
গোস্বামী পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও পুঁথিগত নিয়ম নয়, এ বাড়ির পূর্বপুরুষ এই কাত্যায়নী দেবী দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন। পুজোর চারদিনে ৩৬ রকমের ভোগ দিয়ে দেওয়ার রীতি রয়েছে এখানে।
পথ নির্দেশ: