সাইবার হুমকির শীর্ষে দেশের কোন শহরগুলো? কী বলছে ‘কুইক হিল’?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ডিজিটালাইজেশনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার অপরাধের পরিমাণ।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত সাইবার হুমকির শীর্ষে রয়েছে কলকাতা, পুনে, মুম্বই এবং দিল্লির মতো দেশের বড় শহরগুলো। এমনই চঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে কুইক হিলের ‘সেকরাইট ল্যাবস’। দশ লক্ষের বেশি সাইবার হুমকির ওপর গবেষণা চালিয়ে, বিশ্লেষণ করে এই তথ্য সামনে এনেছে কুইক হিলের ‘সেকরাইট ল্যাবস’। প্রসঙ্গত, কুইক হিল টেকনোলজিস লিমিটেড একটি বিশ্বব্যাপী সাইবার নিরাপত্তা সমাধান সরবরাহকারী সংস্থা।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন অবধি তথ্য তারা সংগ্রহ করেছেন। শীর্ষ ১০ শহরের মধ্যে তালিকায় সবার উপরে রয়েছে কলকাতা। দ্বিতীয়স্থানে মুম্বই, বাণিজ্যনগরীতে ৭.০০ মিলিয়ন হুমকি মিলেছে। ৫.৬৯ মিলিয়ন এবং ৫.৫৬ মিলিয়ন সাইবার হুমকির সম্মুখীন হয়েছে, যথাক্রমে পুনে এবং নয়াদিল্লির মানুষেরা। এই দুই শহর তালিকায় তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে। শহরগুলির মধ্যে রয়েছে বেঙ্গালুরু, সেখানে ৪.৮৬ মিলিয়ন হুমকি মিলেছে। সুরাটে ৪.১৬ মিলিয়ন হুমকি, হায়দ্রাবাদের হুমকির সংখ্যা ৩.৫০ মিলিয়ন, আহমেদাবাদে ৩.৪৫ মিলিয়ন, চেন্নাইয়ে ২.৩৬ মিলিয়ন হুমকি, এবং গুরগাঁওতে ২.০১ মিলিয়ন হুমকি মিলেছে।
সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিজ্ঞাপন, গুগল প্লে-তে অ্যান্ড্রয়েড গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে সাইবার অপরাধীরা ধীরে ধীরে বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছেন। সেকরাইট ল্যাবসের গবেষকরা গবেষণার মাধ্যমে প্রতারকদের একাধিক কৌশল ধরে ফেলতে পেরেছেন। কুইক হিল টেকনোলজিস লিমিটেড, বৈধ অ্যাপের আড়ালে নকল অ্যাপ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করেছে। নকল অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ব্যক্তগত চুরি করতে পারে। জিপিএসের মাধ্যমে ট্র্যাক করতে পারে ব্যবহারকারীর অবস্থান। পরিত্রাণের উপায় সম্পর্কে সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে’সব সফটওয়্যার নিয়মিত ব্যবহার করা হয়, সেগুলো আপডেট করতে হবে। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে, মাল্টি ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন বা টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের ব্যবহার করতে হবে।