কুড়মি অন্দোলন ‘জনস্বার্থ বিরোধী’, হাইকোর্টের কড়া ভূমিকায় স্থগিত অবরোধ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আধাসেনা নামাক রাজ্য, আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষের হয়রানি বরদাস্ত নয় কোনওমতেই – কার্যত এই ভাষায় কুড়মি অন্দোলনকে বিঁধল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্ট কুড়মিদের অবরোধ অন্দোলনকে ‘জনস্বার্থ বিরোধী’ আখ্যা দিতেই কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা করলেন কুড়মি নেতা অজিতপ্রসাদ মাহাত। বুধবার থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি ও পুরুলিয়ার কুস্তাউরে যে রেল এবং সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছিল, তা আপাতত স্থগিত করা হচ্ছে। ৩০ সেপ্টেম্বর রাজ্য কমিটিতে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তাঁরা।
কুড়মি সম্প্রদায়ের ডাকা রেল এবং সড়ক অবরোধ কর্মসূচি নিয়ে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট কড়া অবস্থান নিতেই পরিস্থিতি বদলে গেল! কুড়মিদের আদিবাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করার দাবিতে, এর আগে দু’বার রেল ও সড়ক অবরোধ করেছেন তাঁরা। এবারও আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। অবরোধের কথা মাথায় রেখেই দক্ষিণ-পূর্ব রেল আজ, বুধবার ৭১টি ট্রেন বাতিল এবং পাঁচটি ট্রেন ঘুরপথে চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। অবরোধ হলে সাধারণ মানুষের চূড়ান্ত দুর্ভোগ হবে—এই অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পুরুলিয়া চেম্বার অব ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির জেলা সভাপতি গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে বলা হয়, গতবার আন্দোলনের জেরে রেলের ৬০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। জরুরি পরিষেবা ব্যাহত হয়েছিল। অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল ও সড়ক এইভাবে আটকে রাখা যায় না। রাজ্য জানায়, কুড়মি সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করেও সুরাহা হয়নি।
সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, প্রয়োজনে সেনা নামিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে। আরও জানানো হয়, রেল ও সড়ক অবরোধের বদলে অন্য কোন উপায়ে আন্দোলন করলে কুড়মিদের সমস্যার সমাধান হবে, সেই পথ দেখাতে হবে রাজ্যকে। কুড়মিদের আন্দোলন প্রত্যাহার হতেই, রেল জানিয়েছে, কোনও ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে না।