লোকসভায় উপস্থাপিত হলো Women’s Reservation Bill, কী রয়েছে তাতে?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লোকসভায় উপস্থাপিত হলো Women’s Reservation Bill, কী রয়েছে এই নারী সংরক্ষণ বিলে?
বিলে প্রস্তাব করা হয়েছে, দেশের সংসদে এবং রাজ্যের বিধানসভাগুলোকে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করতে হবে। এই প্রস্তাব ২০২৯ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত করতে হবে। বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর নির্বাচনী কেন্দ্রগুলির পুনর্বিন্যাস পরই, সংরক্ষণ কার্যকর করা যেতে পারে। মনে করা হচ্ছে, ২০২৭ সালে সম্ভাব্য পরবর্তী আদমশুমারির পরই নির্বাচনী আসনগুলির পুনর্বিন্যাস করা হবে।
ভারতীয় সংবিধানের ৮২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, (২০০২ সালে সংশোধিত) ২০২৬ সালের পর হওয়া প্রথম আদমশুমারির উপর ভিত্তি করে নির্বাচনী আসনগুলোর সীমানা পুনর্বিন্যাস করা যেতে পারে। ২০২৬-র পর ২০৩১ সালে প্রথম আদমশুমারি হওয়ার কথা। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে করোনার কারণে জনগণনা করা যায়নি। ২০২৭ সালে ফের জনগণনা হতে পারে। কিন্তু দ্রুত আসন পুনর্বিন্যাস করতে গেলে, সংবিধানের ৮২ নম্বর ধারা সংশোধন করতে হবে। দক্ষিণের রাজ্যগুলি এখনই আসন পুনর্বিন্যাস করতে রাজি নয়।
বলা হচ্ছে, নারী সংরক্ষণ বিল আইনে পরিণত হলে তা আগামী ১৫ বছর বলবৎ থাকবে। তারপর পরিস্থিতি অনুযায়ী সংরক্ষণের মেয়াদ বাড়ানো হবে। ছয় পৃষ্ঠার বিলে বলা হয়েছে, লোকসভা এবং বিধানসভার এক তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হবে যা সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ হবে। তবে রাজ্যসভায় বা রাজ্য বিধান পরিষদে এই আসন সংরক্ষণ প্রযোজ্য হবে না। এই সংরক্ষণের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ আসন তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত হবে।
বিলটিতে ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি-র মতো দলগুলি কয়েক দশক ধরে এই বিলের বিরোধিতা করেছিল।
২০১০ সালে মনমোহন সিং-এর নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার মহিলা সংরক্ষণ বিলের অনুরূপ, একটি বিলের খসড়া তৈরি করেছিল। বিলের নয়া সংস্করণে, অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের সংরক্ষণের জন্য আনা দুটি সংশোধনী বাদ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনী ক্ষেত্রগুলির পুনর্বিন্যাসের পর, মহিলা সংরক্ষণ বিল কার্যকর হবে। আগামী জনগণনার উপর ভিত্তি করেই আসন পুনর্বিন্যাস হবে। বিলটি ১৫ বছর কার্যকর থাকবে, এর অর্থ একবার পুনর্বিন্যাসের পর বিলটি (আইনটি) কার্যকর হলে, পরবর্তী ১৫ আর আসন পুনর্বিন্যাসের সম্ভাবনা থাকবে না। সেক্ষেত্রে আসন পুনর্বিন্যাসের জন্য পৃথক একটি আইনের প্রয়োজন।
বিল প্রসঙ্গে বলা হচ্ছে, রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতেই এই বিল আনা হচ্ছে। এই মুহূর্তে ভারতের কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যগুলির আইনসভার মোট আসনের মাত্র ১৪ শতাংশ আসনে মহিলা জনপ্রতিনিধিরা রয়েছেন, যা বিশ্বের গড়ের তুলনায় অনেকটাই কম।