বাংলার পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট, আরও ৩২০০ কোটি ঋণ দেবে বিশ্বব্যাঙ্ক
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১০০ দিনের কাজ, গ্রামীণ সড়ক যোজনাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্র ও রাজ্যের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। তবে এই আবহেই মিলল সুখবর। বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে আরও ৩২০০ কোটি টাকা ঋণ পেতে চলেছে রাজ্য। পঞ্চায়েতের কাজে ব্যয়ের জন্য এই অর্থ দেওয়া হবে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঋণপ্রদানে প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রের ‘ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স’।
২০১০ সাল থেকে ISGP প্রকল্প বা ‘ইনস্টিটিউশনাল স্ট্রেনদেনিং অফ গ্রাম পঞ্চায়েত’ প্রকল্প শুরু হয়। রাজ্যের মোট ১০০০ গ্রাম পঞ্চায়েতকে এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়। নবান্ন সূত্রে খবর, বিশ্বব্যাঙ্কের চুক্তি অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে এই প্রকল্পের তৃতীয় ফেসের জন্য কেন্দ্রের মৌখিক অনুমোদন এবং বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে অর্থ পাওয়ার প্রাথমিক সম্মতি রাজ্যের পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এবার কেন্দ্রের কাছে খুব শিগগিরই একটি লিখিত প্রস্তাব পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, ISGP প্রকল্প ভালভাবে রুপায়ন করার জন্য রাজ্য সরকারকে ‘হাইলি স্যাটিসফেক্টারির রেটিং’ও দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য বছরের নির্দিষ্ট সময়ে বাজেট, অনলাইন টেন্ডারিং চালু করা, বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা-সহ বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ হয়েছে। রাজ্যের পারফরম্যান্স খুব ভাল হওয়ায় বিশ্বব্যাঙ্ক নতুন করে ঋণে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে বলে খবর। এবিষয়ে খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই বাংলায় ঘুরে গিয়েছে বিশ্বব্যাঙ্কের এক প্রতিনিধি দল।
পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আইএসজিপি ফেজ-৩ প্রকল্পের জন্য মোট ৪০০ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। তবে এই প্রকল্পের মেয়াদ ৫ বছর অনুযায়ী, ২০২৯ সালে ISGP ফেজ-৩ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা। তার মধ্যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণ। বাকি ১০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করবে রাজ্য। যা দিয়ে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ, কর্মীদের প্রশিক্ষণ-সহ বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হবে।