মিলছে না কাশি থেকে রেহাই? কী করবেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শরৎ পড়লেও বর্ষার দাপট চলছে। জ্বর, সর্দি, কাশি লেগেই রয়েছে। বৃষ্টি আর রোদের খামখেয়ালিপনায় ছোটবড় সকলেরই আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা শ্বাসনালীর ওপরের দিকের সংক্রমণ হচ্ছে। হাঁচি, কাশি, নাক দিয়ে জল বেরনো, চোখ চুলকানো, সঙ্গে জ্বরও আসছে। কাশি থেকে যাচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার পাশাপাশি এই সমস্যাতেই কাহিল মানুষজন।
হাঁচি, কাশি, নাক দিয়ে জল বেরনো, চোখ চুলকানো, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, চোখ লাল হওয়ার মতো লক্ষণগুলি মূলত দুটি অসুখের কারণে হতে পারে। প্রথমটি কমন কোল্ড। যা ভাইরাসের প্রভাবে হয়। দ্বিতীয় কারণ হল অ্যালার্জি। ঘন ঘন আবহাওয়ার বদলে ফলে এবং স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার জেরে অ্যালার্জেনের মাত্রা বেড়ে যায়।
ভাইরাসের সমস্যা ৫-৭ দিনের বেশি চলে না। সঙ্গে জ্বর থাকে। অ্যালার্জিতে সমস্যা চলতেই থাকে। জ্বর থাকে না।
জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গগুলো থাকলে, ম্যালেরিয়া বা ডেঙ্গু আছে কি না তা জানতে রক্তপরীক্ষা করান। না থাকলে, কমন কোল্ডের চিকিৎসা করতে হবে। রোগীর শরীরকে বিশ্রাম দিতে হবে। গলাকে বিশ্রাম দিতে হবে। প্রচুর জলপান করতে হবে।
কাশির সমস্যার মূল কারণ ভাইরাল ইনফেকশন, যা গলার স্বরযন্ত্রকে আক্রমণ করে। প্রদাহ সৃষ্টি করে। ফলে কথা কম বললে, স্বরযন্ত্র দ্রুত সেরে উঠবে। প্রাথমিকভাবে ভাইরাল ইনফেকশনের পর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও ঘটে। জ্বর প্রথম দিকে ১০০-১০১ মতো থাকলেও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হওয়ার পর বেড়ে ১০২-১০৩ হয়ে যায়। বয়স্কদের ফুসফুসের জোর কম থাকে। তারপর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হলে পরিস্থিতির দ্রুত অবনমন ঘটে।
ওষুধ খাওয়ার পরও কাশির মাত্রা কমল না, অ্যালার্জির কথা ভাবতেই হবে। হঠাৎ বৃষ্টি, ভ্যাপসা গরম, চড়া রোদের মরশুম হল অ্যালার্জেনের দোসর। এই সময়ে ফ্যাঙ্গাসের উপদ্রবও বাড়বে। ইনডোর অ্যালার্জেনের কারণে হাঁচি, নাক দিয়ে জল পড়া, চোখ চুলকানো, কাশি শুরু হয়।
অ্যালার্জির কাশি থেকে মুক্তি পেতে কী করবেন?
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সপ্তাহে একদিন বিছানার চাদর, বালিশের কভার গরম জলে কাচতে হবে।
বাড়ির দরজা-জানলা খোলা রাখতে হবে।
কোন কোন অ্যালার্জেন থেকে অ্যালার্জি হচ্ছে, তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
সমস্যা চিহ্নিত হলে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়। তাতে সুরাহা মেলে।