দেশের সেরা পর্যটন গ্রামের স্বীকৃতি পেল মুর্শিদাবাদের কিরীটেশ্বরী
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আরও একবার দেশের সেরা বাংলা। পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন থেকে শুরু করে দুয়ারে সরকার প্রকল্প সম্মান পেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। বাংলার দুর্গাপুজো পেয়েছে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি। সদ্য শান্তিনিকতন–কে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। এবার ভারতের সেরা পর্যটন গ্রাম হিসেবে বিবেচিত হল মুর্শিদাবাদের কিরীটেশ্বরী।
মুর্শিদাবাদে মন্দিরগুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সতীপীঠ দেবী কিরীটেশ্বরীর মন্দির। মুর্শিদাবাদের অপর পাড়ে অর্থাৎ ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে ডাহাপাড়া থেকে দুই কিলোমিটার দূরে মন্দিরটি অবস্থিত। কিরীটেশ্বরীর পূর্বনাম ছিল কিরীটকণা। তন্ত্রমন্ত্রে এই স্থানেই পতিত হয়েছিল সতীর মাথার শোভা উজ্জ্বল কিরীট বা মুকুট। সেইজন্যই দেবীর নাম কিরীটেশ্বরী। চন্দ্রমতে দেবীর নাম বিমলা, ভৈরব সম্বর্ত। এটি একান্নপীঠের একটি।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৪০৫ সালে দেবীর প্রাচীন মন্দিরটি ভেঙে পড়ে। তার পরে উনবিংশ শতকে লালগোলার রাজা দর্পনারায়ণ রায় নতুন মন্দির নির্মাণ করান। পরবর্তী সময়ে মন্দিরের জন্য জমি দান করেছিলেন স্থানীয় মুসলিমদের একাংশ। প্রতি পৌষে মহামায়ার পুজো উপলক্ষে মন্দির চত্বরের ওই জমিতে মেলা বসে। আয়োজনের মূল দায়িত্বে থাকেন মুসলিমরাই। বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ হয়ে অনেক বারই আলোচনায় এসেছে মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের এই মন্দির।
৩১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত ৭৯৫টি গ্রাম আবেদন করে। তার মধ্যে থেকে সেরা গ্রাম হিসেবে মুর্শিদাবাদের কিরীটেশ্বরীকে নির্বাচিত করা হয়। কেন্দ্রীয় পর্যটন দপ্তরের তরফ থেকে ২৭ শে সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে পুরস্কার প্রদান করা হবে।