ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সংঘাতের আবহে TV চ্যানেলগুলোকে কী নির্দেশিকা পাঠালো মোদী সরকার?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সংকট ক্রমশ ঘনিভূত হচ্ছে, এই আবহে মোদী সরকার টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে নির্দেশিকা পাঠালো। ২১ সেপ্টেম্বর নির্দেশিকা জারি করেছে মোদী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। তাতে বলা হয়েছে, জঙ্গি তথা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের যেন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে জায়গা না দেওয়া হয়। ভারত-কানাডার কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে এই নির্দেশিকাকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টিভি চ্যানেলগুলিকে কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ১৯৯৫ মেনে চলতে হবে।
প্রসঙ্গত, একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা খালিস্তানি আন্দোলনের নেতা গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নু। সাক্ষাৎকারে মোদী সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। পাঞ্জাব, মণিপুর নিয়ে কথা বলেন পান্নু। এরপরেই টেলিভিশন চ্যানেলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠাল মোদী সরকার। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকায় অবশ্য পান্নু বা কানাডার নাম উল্লেখ করা হয়নি।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের নজরে এসেছ, বিদেশে থাকা এক ব্যক্তি, যার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদসহ নানান গুরুতর অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে, যিনি এমন একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত যা ভারতীয় আইনে নিষিদ্ধ, সেই ব্যক্তিকে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এমন কিছু মন্তব্য করেছে যা দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতার পক্ষে বিপজ্জনক। তার মন্তব্য ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক, জার জেরে একটি দেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে, এমনকী দেশে বিশৃঙ্খলাও তৈরি করতে পারে। সরকার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে। সংবিধান অনুযায়ী সংবাদমাধ্যমের অধিকারের প্রতিও সরকার শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু টেলিভিশন চ্যানেলে যে সমস্ত অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে, সেগুলি যেন ১৯৯৫ সালের কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্কস আইন অনুযায়ী হয়। সেই কারণেই টেলিভিশন চ্যানেলগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, এমন কোনও ব্যক্তিকে মঞ্চ দেবেন না, যে নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এবং যার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ বা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।’