মোদী সরকারের আবাস যোজনায় কেন বঞ্চনার শিকার বাংলা? প্রশ্ন হাইকোর্টের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: একশো দিনের কাজের পর মোদী সরকারের আবাস যোজনাতেও বঞ্চনার শিকার বাংলা, এমনই অভিযোগ উঠছে। এবার মোদী সরকারের জবাব চাইল কলকাতা হাইকোর্ট।
গত ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির অনুমোদন মিলেছে, বছর ঘুরতে চললেও টাকার দেখা নেই। গ্রামবাংলার হাজার হাজার মানুষ পথ চেয়ে বসে আছেন। আজও বাড়ি তৈরির জন্য এক টাকাও ঢোকেনি তাঁদের অ্যাকাউন্টে। নতুন বাড়ির কাজ দ্রুত শুরু হওয়ার আশায়, বহু পরিবার তাদের শেষ ঠাঁইটুকুও ভেঙে ফেলেছিলেন। তাঁরা কেউ কেউ ত্রিপল খাটিয়ে থাকছেন, কেউ কেউ আবার আত্মীয়র বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এহেন বঞ্চনার প্রেক্ষিতে আদালতে মমলা হয়েছিল, সেই মামলায় এবার বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগে মোদী সরকারে জবাব তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, এর আগে ‘১০০ দিনের কাজ’ প্রকল্পে বাংলার বরাদ্দ রাখা নিয়ে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘গরিব মানুষের প্রাপ্য টাকা এভাবে আটকে রাখা যায় না।’ ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ নিয়ে মামলাও প্রায় একই রকম। ময়ূরেশ্বর আম্বেদকর স্মৃতি সঙ্ঘ নাম এক সংগঠন মামলাটি দায়ের করেছে। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেশের সব রাজ্যের জন্য মোট ১৭,৪৯৭.৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মোদী সরকার। এই বরাদ্দ থেকে সব রাজ্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পেলেও বাংলার ভাগ্যে কিছুই জোটেনি। সম্প্রতি বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়।
মামলাকারীর আইনজীবী কিশোর দত্ত অভিযোগ করেন, কেন্দ্র-রাজ্যের যৌথ এই প্রকল্পে বাংলা ছাড়া দেশের সব রাজ্যকে প্রাপ্য অর্থ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলি কয়েক দফায় বরাদ্দ পেয়েছে। কিন্ত বাংলার সঙ্গে এমন আচরণ কেন? আদালতও একই প্রশ্ন তোলে। আগামী ৯ অক্টোবরের মধ্যে মোদী সরকারকে হলফনামা আকারে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।