বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে টার্গেট মোদী সরকারের? ইঙ্গিত বেসরকারিকরণেরও?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এবার কি নরেন্দ্র মোদী সরকার বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে টার্গেট করছে? ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার পর এবার বাংলার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ক্ষেত্রেও শর্ত চাপানো জলে যে কেন্দ্রের নাম ব্যবহার না করলে টাকা মিলবেনা, বন্ধ হয়ে যাবে যাবতীয় অনুদান।
সংবিধান অনুযায়ী ‘স্বাস্থ্য’ রাজ্যের বিষয়। তবু, কেন্দ্র এই নিদান।
দিল্লিতে ন্যাশনাল আরবান হেলথ কনক্লেভ-এর সম্মেলনে দেশের নতুন স্বাস্থ্যসচিব সুধাংশ পন্থ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে ন্যাশনাল হেলথ মিশনের অধীনে প্রথমে চালু হয়েছিল ন্যাশনাল রুরাল হেলথ মিশন। পরে ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশন। মূলত সরকারি বড় হাসপাতালের ভিড় কমাতেই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পুর এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা পরিষেবা বাড়াতে এই প্রকল্প। কিন্তু ইদানীং অনেক রাজ্যই নিজেদের নামে এই স্বাস্থ্য প্রকল্প চালাচ্ছে। আবার কেন্দ্রের আর্থিক সহযোগিতাও নিচ্ছে। পন্থ জানিয়ে দেন যে সেটা চলবে না। নিজেদের নামে প্রকল্প করলে কেন্দ্রের ন্যাশনাল হেলথ মিশনের অর্থ সাহায্য মিলবে না।’
যদিও স্বাস্থ্যসচিব দিল্লি এবং পাঞ্জাবে আম আদমি সরকারের মহল্লা ক্লিনিকের বিষয়টি এ ব্যাপারে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন এবং সরাসরি বাংলার নাম না করলেও এরাজ্যের স্বাস্থ্যকেন্দ্র যে কেন্দ্রের বিষনজরে রয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।
বিভিন্ন রাজ্যের পুর এলাকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে আলোচনার জন্য দিল্লিতে বসেছিল এই ন্যাশনাল আরবান হেলথ কনক্লেভ-এর সম্মেলন। সেখানে স্বাস্থ্যসচিব বলেছেন যে সরকারি ব্যবস্থাতেই স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সম্পূর্ণ হবে না।বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ দিতে হবে।মনে করা হচ্ছে স্বাস্থ্যসচিবের এই ইঙ্গিত আসলে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবারও বেসরকারিকরণ করার।