হাতে মাত্র কয়েকটা WEEKEND, জমে উঠেছে পুজোর বাজার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হাতেগোনা আর মাত্র তিনটে সপ্তাহ। তারপরই বাঙালির সবচাইতে বড় উৎসব, দুর্গোৎসব। ফলে মানুষ হইহই করে এখনই নেমে পড়েছে বাজারে। হাতিবাগান থেকে গড়িয়াহাট। ধর্মতলা থেকে গড়িয়া ভিড়ে থইথই করছে।
হাল আমলের অনলাইন শপিং নয়, ১০ দোকান ঘুরে কেনাকাটাতেই আজও পুজোর গন্ধ খুঁজে পাচ্ছেন বাঙালি। রবিবারের নিউ মার্কেটের ভিড়ই বলে দিচ্ছে সারা বছর অনলাইনে কেনাকাটা করলেও পুজোয় ভরসা দোকানই। নিউ মার্কেটের ভিড় ঠেলে কোনওমতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন দম্পতি। এক হাতে নতুন জামার ব্যাগ। অন্য হাতে ক্লাস সেভেনের পড়ুয়া মেয়েকে শক্ত করে ধরে পরের দোকানগুলোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। অনলাইন শপিং থাকলেও পুজোর সময় সপরিবারে বেরিয়ে কেনাকাটা না করলে মন ভরে না বাঁশদ্রোণীর দত্ত পরিবারের। তাই শত ভিড় ঠেলেও পুজোর কেনাকাটা করতে রবিবারের বিকেলে ছুটে এসেছিলেন নিউ মার্কেটে।
নিউ মার্কেটের সামনে মেয়েদের কুর্তি, লেগিন্সের চমৎকার কালেকশন। সাতখানা কুর্তি ও চারটি লেগিন্স কিনে ফেললেন এক তরুণী। দিনের শুরুতেই এমন লক্ষ্মীলাভে বেজায় খুশি বিক্রেতা যুবকটি। কিনে একগাল হাসি তরুণীরও। শুধু কি নিউ মার্কেট? মানিকতলা বাজারের রথীনাথ গড়াই কিংবা গড়িয়াহাট বাজারের রাজীব লোহারের ব্যবসা ভালো হচ্ছে। ফলে মুখে চওড়া হাসি। হাতিবাগানে জামাকাপড়ের পাশাপাশি পরদা ও বালিশের ওয়ার কিনতেও ভিড়। নিউ মার্কেটে ঘর সাজানোর জিনিস কিনতে উৎসাহ দেখার মতো। সোমবার সচরাচর এরকম জমজমাট বাজার দেখা যায় না বলে বক্তব্য ব্যবসায়ীদের। আর শপিংয়ের ফাঁকে দস্তুরমতো ঘামতে ঘামতে পাউভাজি-ফুচকা-চানা বটোরা-চাউমিনে পেট ভরালেন ক্রেতারা।
বিক্রেতাদের বক্তব্য, করোনার সময় খুব খারাপ অবস্থা হয়েছিল। গত বছরও পুজোর বাজার ভালো ছিল না। তবে এ বছর সবকিছু দিব্যি চলছে। শপিং মল তো বটেই ফুটপাত এবং দোকানগুলিতেও ভিড়। এখন ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রার্থনা, পুজোর আগের বাকি কটা দিন যেন আর বৃষ্টি না হয়। তাহলে শুকনো মাঠে পুজোর শপিং আরও জোরালোভাবে ছুটবে।