মোদী আমলে ‘Hate speech’-র রমরমা, ঘৃণা ভাষণে এগিয়ে গেরুয়া নেতারা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী আমলে দেশজুড়ে মাথাচাড়া দিয়েছে গুচ্ছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। একদিকে, বিজেপি আর অন্যদিকে, কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের উত্থান, এই দুইয়ের অভিঘাতে পাল্লা দিয়েই বাড়ছে ঘৃণা ভাষণ, ফোয়ারা ছুটছে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের। মোদী থেকে যোগী, সকলেই ঘৃণা ভাষণের কারবারি। সংখ্যালঘু অর্থাৎ মুসলমানদের বিরুদ্ধে আমজনতাকে ক্ষিপ্ত করে তুলতে লাগাতার ঘৃণা ভাষণের বন্যা চলছে। চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে গোটা দেশে যত ঘৃণা ভাষণ দেওয়া হয়েছে, তার সিংহভাগের পিছনেই রয়েছে বিজেপি ও মোদী দলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এমনই বিস্ফোরক তথ্য, উঠে এসেছে ‘হিন্দুত্ব ওয়াচ’-র রিপোর্টে। গবেষণা সংস্থাটি ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর ঘটে চলা অপরাধ এবং ঘৃণা ভাষণ নিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণা করে।
সোমবার ওই সংস্থার পক্ষ থেকে ভারতে লাগাতার চলতে থাকা ঘৃণা ভাষণ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে মোদী প্রধানমন্ত্রীর গদি বসার পর থেকেই ভারতে মুসলমানসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের আক্রমণ করে ঘৃণা ভাষণের প্রবণতা দিন দিন বেড়ে চলেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং গুজরাতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ঘৃণা ভাষণের ঘটনা ঘটেছে। হিন্দুত্ব ওয়াচ জানাচ্ছেন, ঘৃণা ভাষণের প্রায় ৬৪ শতাংশই মুসলমান বিরোধী।
বিজেপি শাসিত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা ভাষণের ঘটনা ঘটছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে মোট ২৫৫টি ঘৃণা ভাষণের ঘটনা ঘটেছে, তার ৮০ শতাংশের পিছনেই রয়েছে বিজেপি এবং বজরং দল, সকল হিন্দু সমাজ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি, সকলেই বিজেপি ঘনিষ্ঠ এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ‘হিন্দুত্ব ওয়াচ’ বলছে, এনসিআরবি ২০১৭ সাল থেকে ঘৃণা ভাষণ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ বন্ধ করে দিয়েছে। সমাজ মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তাঁরা বলছেন, বিজেপির শাসনে ভারতের মুসলমান নাগরিকরা ধর্মীয় বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। মুসলমানদের বিতাড়িত করে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার ডাক দিয়েছে হিন্দুত্ববাদীরা, এতে দেশের মুসলমান নাগরিকরা শঙ্কিত। যদিও বিজেপি বরাবরের মতো এই রিপোর্টকে ভিত্তিহীন বলে দাগিয়ে দিয়েছে।