রঞ্জিত মল্লিক ও বেল্ট, সমাজ মাধ্যমে কবে থেকে শুরু হল এই দু’য়ের রসায়ন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: স্পাইডার ম্যান, ব্যাট ম্যান, অ্যাকুয়া ম্যান এসব এখন অতীত। আবির্ভাব ঘটেছে বাঙালির নয়া সুপার হিরো-র, তিনি বেল্ট ম্যান। তিনি রঞ্জিত মল্লিক, তিনিই বাঙালির বেল্ট ম্যান। অধুনা সমাজ মাধ্যমে এই প্রবীণ অভিনেতার একটাই পরিচয়। মৃণাল সেন থেকে সত্যজিৎ রায়, সকলের সঙ্গেই কাজ করেছেন রঞ্জিত মল্লিক। তবুও আজ সমাজ মাধ্যমের পাতায় তিনি শুধুই ‘বেল্ট ম্যান’।
কন্দর্পকান্তি রঞ্জিত মল্লিক থেকে রাফ অ্যান্ড টাফ রঞ্জিত মল্লিকের উত্তরণ ঘটেছিল অঞ্জন চৌধুরীর হাত ধরে। তারপর একে একে শত্রু, বিধিলিপি, ইন্দ্রজিৎ, গুরুদক্ষিণ, শতরূপা, পূজা, বড় বউ, মেজ বউ, ছোট বউ। আট-নয়ের দশকে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সততা ও আদর্শের প্রতি মূর্তি। পরিবারের জেষ্ঠ্যপুত্র তিনি, ন্যায় নীতির পরাকাষ্ঠা। প্রায় প্রতি সিনেমাতেই তাঁর সংলাপে দেখা গিয়েছে, তিনি বলছেন, “চাবকে পিঠের চামড়া তুলে দেব।” ছোট বউ ছবিতে দেখা যায়, তিনি বেল্ট খুলে প্রসেনজিৎকে (ছবির আরেকটি চরিত্র) চাবকাচ্ছেন। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে বেল্ট ম্যানের ভূমিকায় রঞ্জিত মল্লিকের উত্তরণ ঘটে। আজ তাঁর জন্মদিনেও, গোটা সমাজ মাধ্যমে বন্যা বয়ে গিয়েছে বেল্ট ম্যান মিমের, তৈরি হয়েছে ট্রোল ভিডিও।
জওয়ান সিনেমায় শাহরুখের দ্বৈত চরিত্রের একটিতে তিনি আর্মি অফিসার বিক্রম রাঠোর। আরকেটি চরিত্রে ছেলে আজাদ। ছেলেকে বাঁচাতে বিক্রম রাঠোর ফিরে আসেন রণংদেহী মেজাজে। মুখে জ্বলন্ত সিগার, হাতে বেল্ট। তা দিয়েই শত্রুদের ‘চাবকে পিঠের ছাল’ তুলে দিয়েছে বিক্রম। তা দেখেই তুমুল হাততালি দিয়েছেন দর্শকরা। সমাজ মাধ্যম সেখানেও হাজির করেছেন রঞ্জিত মল্লিক প্রসঙ্গ। এতেই বোঝা যায়, বেল্ট ও রঞ্জিত মল্লিকের সম্পর্কের রসায়ন কতটা শক্তিশালী।
আজ রঞ্জিত মল্লিকের জন্মদিনে দেখে নিন ‘রঞ্জিত ও বেল্ট’ সম্পর্কিত মিম: