দশভূজার মূর্তি তৈরি করছেন বাংলারই এক ‘দশভূজা’ মায়া
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দশভূজার মূর্তি তৈরি করছেন বাংলারই এক ‘দশভূজা’। হ্যাঁ সত্যিই তিনি দশভূজা। সংসারের দায়িত্ব নিজেই সামলান। নিত্যদিন হেঁসেল সামলান, মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন, ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াচ্ছেন তার সঙ্গে সঙ্গে দুর্গা প্রতিমাও গড়ে চলেছেন। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে তিনি প্রতিমা গড়ার কাজ করে আসছেন।
মগরাহাটের ধনপোতার বাসিন্দা মায়া মণ্ডল। দুর্গাপুজো এসে পড়ায় এখন নাওয়া-খাওয়া মাথায় উঠেছে তাঁর। কাজ চলছে জোরকদমে। ইতিমধ্যেই আটটি প্রতিমা বানিয়ে ফেলেছেন। মহালয়ার পর তাঁর হাতে তৈরি প্রতিমা পাড়ি দেবে বারুইপুরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে।
কয়েক বছর ধরে বারুইপুরের দোলতলায় রায়চৌধুরী পরিবারের জায়গায় বসবাস করছেন মায়াদেবী। দরমার বেড়া দিয়ে তৈরি ঘরে রয়েছে একের পর এক প্রতিমা। এবার বিশ্বকর্মা ঠাকুরও দেদার বিক্রি করেছেন মাঝবয়সি এই প্রতিমাশিল্পী। স্ত্রীকে সাহায্য করেন স্বামী পুলক মণ্ডল। মায়াদেবী বলেন, ‘শ্বশুর সুবল মণ্ডলের কাছেই প্রতিমা গড়ার কাজ শিখেছি। রায়চৌধুরী পরিবারে রথ ও রাস উৎসব বড় করে হয়। সেই উৎসবেও প্রতিমা গড়ি আমরা। আমাদের থাকার জন্য তাঁরাই জায়গা দিয়েছেন।
মায়া জানালেন, প্রতিমা গড়েই ছেলেকে বারুইপুরের এক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি করেছেন, মেয়েও বিএ পাশ করেছে। তার বিয়েও দিয়েছেন। তিনি বলেন, সকালে হেঁশেলের কাজ সামলে দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রতিমা গড়ার কাজ করি। মহালয়ার দিন দেবীর চোখ আঁকা হবে। তারপরেই সপরিবারে মণ্ডপে যাবে দেবী দুর্গা।
আর এই মায়ারাই তো গ্রামবাংলার সত্যিকারের দশভূজা। তাঁদের কুর্নিশ না জানিয়ে উপায় আছে