বাজার থেকে উধাও সাড়ে এক হাজার কোটির অধিক ‘১০ টাকার নোট’?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দেশজুড়ে দশ টাকার নোটের সংকট শুরু হবো হবো করছে। শেষ কবে ঝা চকচকে ১০ টাকার নোট দেখেছিলেন মনে পড়ে? ১০-র যা নোট হাতে আসে, তা সবই প্রায় নেতানো, মলিন ও একেবারে রঙচটা। নোটগুলির অবস্থা দৈন্য থেকে দৈন্যতর হচ্ছে। নোট ভাঙাতে ভরসা ১০ টাকার নোটই, দৈনন্দিন কাজ, বাজারে, গাড়ি ভাড়া মেটাতে এ ছাড়া আর গতি নেই। ১০ টাকার নোটের যে বিকল্প হয় না, জানেন সবাই। রাস্তাঘাটে খুচরোর হাহাকার দেখলেই বোঝা যায় নোট কমে যাচ্ছে। ১০-এর নোট নিয়েই যত বিপত্তি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক হিসেব বলছে, এই মুহূর্তে বাজারে ২৬ হাজার ২১২ কোটি টাকার ১০-এর নোট আছে। ২০১৬-‘১৭ অর্থ বছরে বাজারে ৩৬ হাজার ৯২৯ কোটি টাকার ১০ টাকার নোটের জোগান ছিল।
ছ’বছরে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ১০-র নোট বাজার থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। ১ হাজার কোটির বেশি নোট উধাও হয়েছে। ১০ টাকার কয়েনের জোগান সামান্য বেড়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হিসেব বলছে, ২০১৬-‘১৭ অর্থ বছরে দেশে ৫ হাজার ২০৪ কোটি টাকার ১০ টাকার কয়েন ছিল। এখন ৫ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ‘ক্লিন মানি’ প্রকল্পের আওতায় পুরনো, ময়লা ও ছেঁড়া-ফাটা নোট বাতিল করে নতুন নোট বাজারে আনার উদ্যোগ শুরু হয়। কোপ পড়ে ১০ টাকার নোটের উপর। প্রচুর নোট নষ্ট করা হয়। ২০১৯-‘২০ অর্থবর্ষে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ৫৫৭ কোটি সংখ্যক ১০ টাকার নোট নষ্ট করে। পরের বছর সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ২২০ কোটি। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ফের নষ্ট নোটের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ওই বছর ৪৬৮ কোটি ১০ টাকার নোট নষ্ট করা হয়। আরবিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাজারে রয়েছে ২ হাজার ৭৮০ কোটি ১০ টাকার নোট। যা তার পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ১৫৭ কোটি কম। অধুনা তা কমে, ২ হাজার ৬০০ কোটিতে নেমে এসেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ৫০০ ও ১০০ টাকার নোট ছাপানোয় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। যার জেরে আরও কমছে দশ টাকার নোটের সংখ্যা।