উৎসবের বাংলাকে আলোয় মুখরিত করার প্রস্তুতি ‘আলোর শহর’ ফরাসডাঙায়
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আলোর রোশনাই ছাড়া কী আর উৎসব জমে? চন্দ্রযান থেকে ক্রিকেট বিশ্বকাপ, রিও কার্নিভালের সাম্বা থেকে হরিদ্বারের গঙ্গা আরতি, উৎসবমুখর বাংলাকে আলোয় মুড়ে ফেলতে জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে ‘আলোর শহরে’ চন্দননগরে। এখন শেষমুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত চন্দননগরের শিল্পীরা। আলোর সাজে একে অন্যকে ছাপিয়ে যাওয়ার লড়াই রয়েছে আলোকশিল্পীদের মধ্যে। গোপনীয়তা বজায় রাখছেন সবাই। থ্রিডি ও ফোরডি লাইটের কারিকুরিতে বাংলা তথা গোটা দেশকে চমকে দিতে চলছেন ফরাসডাঙার শিল্পীরা।
বিগত কয়েক দশক ধরে চন্দননগরের শিল্পীরা উৎসবের সময় গোটা বাংলাকে আলোয় ভরিয়ে তোলেন। দেশ পেরিয়ে বিদেশেও চন্দননগরের আলোকসজ্জা খ্যাতি ছড়িয়েছে। টুনি বাল্ব থেকে থ্রিডি ও এখন ফোরডি লাইটে বদলে গিয়েছে শিল্প। চন্দননগরের শিল্পীদের আলোয় সাজে কলকাতার একাধিক মণ্ডপ। এবারে আলোর সাহায্যে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে রিও কার্নিভালের সাজ। আরেকটি মণ্ডপে ফুটিয়ে তোলা হবে চন্দ্রযান-৩ এর দৃশ্য। অন্য একটি প্যান্ডেলে রাজস্থানী সংস্কৃতি, চন্দ্রযান, হরিদ্বারের গঙ্গা আরতি ফুটিয়ে তোলার কাজ করছেন শিল্পীরা। ক্রিকেট বিশ্বকাপও ফুটে উঠবে আলোকসজ্জায়। কলকাতার পাশাপাশি ওড়িশা, জামশেদপুরেও কাজ করছেন শিল্পীরা। বাংলা থেকেই আলো ওই সমস্ত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। কোথাও ফুলের উপতক্যা, কোথাও মঙ্গল ঘট থেকে গঙ্গোত্রী নামবে, কোথাও আলোর তৈরি রয়েল বেঙ্গল টাইগার লাফ দেবে। আয়রন ও স্টিলের স্ট্রাকচারের উপর ফোরডি লাইটের মাধ্যমে সব তৈরি করা হচ্ছে। আলোকশিল্পীদের আশা, দর্শনার্থীরা তাঁদের কাজ দেখে চমকে যাবেন।