রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

উপচে পড়ছে DVC-র জল, বাংলার কোন কোন জেলায় বন্যার আশঙ্কা?

October 3, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল ও সংলগ্ন ঝাড়খণ্ডে নিম্নচাপের জেরে গত ক’দিন যাবৎ প্রবল বৃষ্টি চলছে। যার ফলে ডিভিসিতে এখন উপচে পড়ছে জল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ডিভিসি দফায় দফায় জল ছাড়তে শুরু করেছে। বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ার ফলে দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শারদোৎসবের প্রাক্কালে পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর ও হাওড়া জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ বন্যার আশঙ্কায় দিন গুনছেন।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোমবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সারেন। সাত জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে পাঁচ দফা ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। সাতটি জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন। সেচ, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের প্রধান সচিব ও রাজ্য‌ পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। জেলাগুলিতে কন্ট্রোল রুম চালু করে ৫ ঘণ্টা অন্তর অন্তর বন্যা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী বুধ-বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ও ঝাড়খণ্ডের দামোদর অববাহিকা অঞ্চলে বৃষ্টি চলতে পারে। এতেই উদ্বেগ আরও বেড়েছে। রবিবার ডিভিসির বাঁধগুলি থেকে ৫০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়। বৃষ্টি বাড়লে ডিভিসির জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়বে। বরাকর নদীর উপর মাইথন এবং দামোদর নদের উপর পাঞ্চেত ড্যাম থেকে ছাড়া জল দুর্গাপুর ব্যারেজে পৌঁছনোর পর, সেই জল ছাড়া হচ্ছে। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে বেশি মাত্রায় জল ছাড়া হলে, বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া জেলার নিম্ন দামোদর অববাহিকায় বন্যার আশঙ্কা থাকে। সেচদপ্তর জানিয়েছে, অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরে মাইথন, পাঞ্চেত ছাড়াও ম্যাসাঞ্জোর, হিংলো, মুকুটমণিপুর, চাণ্ডিল ড্যামে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। এসব বাঁধ থেকেও জল ছাড়ায় দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলায় বন্যার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

জেলা প্রশাসনগুলিকে নবান্ন তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নীচু ও বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনে বুঝে সেখানকার মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। নদীবাঁধে কোথাও ফাটল দেখা যাচ্ছে কি না, তা সেচদপ্তরকে জানাতে হবে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলতে হবে। ত্রাণসামগ্রী এবং বন্যা মোকাবিলার প্রয়োজনীয় উপকরণ মজুত রাখতে হবে। ঝাড়খণ্ড সরকার এবং ডিভিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Flood, #dvc

আরো দেখুন