দেশ বিভাগে ফিরে যান

অন্ধকারে ডুবে রয়েছে সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশ, বিদ্যুৎ সঙ্কটে পড়তে হতে পারে উত্তরবঙ্গকেও

October 6, 2023 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: উত্তর সিকিমের দক্ষিণ লোনাক হ্রদে মাত্রাধিক বৃষ্টির জেরেই তিস্তা নদীর হড়পা বানে বিপর্যস্ত সিকিম-সহ উত্তরবঙ্গ। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক প্রায় পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে পড়ায় সেনাবাহিনীর গতিবিধি নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। সমস্যা দেখা দিতে পারে সেনার রসদ পৌঁছনো নিয়েও। কারণ, বায়ুসেনা মারফত বা সেনা হেলিকপ্টার ছাড়া সিকিমে যোগাযোগের আর উপায় আপাতত নেই। বিদ্যুৎ পরিষেবা এবং মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যা চলছে। অন্ধকারে ডুবে রয়েছে সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশ।

রাজ্যের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ধুয়ে মুছে সাফ। সিকিমের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের শঙ্কা উত্তরবঙ্গজুড়েও। সিকিম ও বাংলা মিলিয়ে সাতটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সিংহভাগ বন্ধ। ফলে ধাক্কা লেগেছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। স্তব্ধ সরবরাহও। বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বৃহস্পতিবার বাংলার কাছে আপৎকালীন সাহায্য চেয়েছে সিকিম। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে এরাজ্য থেকে যদি তা দেওয়া শুরু হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুৎ সঙ্কটের মুখে পড়তে হতে পারে উত্তরবঙ্গকে। অন্তত এমনই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

সিকিমের চুংথাংয়ে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তিস্তা থ্রি কেন্দ্রটির বাঁধের একাংশ নিশ্চিহ্ন। গোটা পাওয়ার হাউস জলের তলায়। মঙ্গলবার রাতে ১০ মিনিটের মধ্যে জলরাশি এসে ভেঙেচুরে শেষ করে দেয় সবকিছু। এনএইচপিসি জানিয়েছে, ৫১০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন তিস্তা ফাইভ হাইডেল প্লান্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই হাল নির্মীয়মাণ তিস্তা সিক্স প্রকল্পের। কালিঝোরা প্রকল্পের জনসংযোগ আধিকারিক অমিত শরন বলেন, ‘একমাত্র রঙ্গিত পাওয়ার প্রজেক্ট চালু আছে।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#The National Hydroelectric Power Corporation, #Sikkim, #Power Crisis, #Sikkim Flash Floods

আরো দেখুন