বায়ুদূষণ রুখতে কী উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ক্রমেই বাড়ছে বাতাসে দূষণের পরিমাণ। সরকারি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, চলন্ত গাড়ি বা যানবাহনগুলি প্রায় ৩০ শতাংশ বায়ুদূষণ ছড়াচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে বায়ুদূষণ কমাতে উদ্যোগী হল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে সরকারি এসি ও নন-এসি ৯০টি বাসে বিশেষ যন্ত্র বসানোর কাজ চলছে। যার মাধ্যমে বাসের ভিতর বিশুদ্ধ বাতাসের জোগান দেওয়া হবে। বাসগুলো যে রাস্তা দিয়ে যাবে, সেখানকার বাতাসের ধূলিকণা ও দূষণ সৃষ্টিকারী কণা বাসের মাথায় বসানো যন্ত্রে আটকে যাবে। পাশাপাশি বায়ুদূষণের হার পরিমাপ করবে বিশেষ প্রযুক্তি। এলাকাভিত্তিক বায়ুদূষণের ছবিটাও উঠে আসবে এই পদক্ষেপের মাধ্যমে।
খবর মিলছে সরকারি বাসে দুই ধরনের যন্ত্র বসানো হচ্ছে। নন-এসি বাসে বসছে বাস রুফ মাউন্টটেড এয়ার ক্লিনিং সিস্টেম। দু’ধরনের ফিল্টার থাকবে তাতে। একটি হাই এফিসিয়েন্সি পারটিকুলেট এয়ার ফিল্টার বা হেপা ফিল্টার এবং আরেকটি হল কার্বন ফিল্টার। বিভিন্ন দূষণ সৃষ্টিকারী কণা জোড়া ফিল্টারে আটকাবে।
এসি বাসে বসানো হচ্ছে ইন্ডোর এয়ার ফিল্টারেশন সিস্টেম। হেপা ফিল্টার বিশিষ্ট এই যন্ত্রটি ভিতরের দূষিত বাতাস বের করে দিয়ে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের ভিতরে বিশুদ্ধ বাতাস পাঠাবে। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে কলকাতা, হাওড়া-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় এই প্রকল্প কার্যকর হবে। ফিল্টার বসানোর সুফল পাওয়া গেলে, পরবর্তীতে প্রকল্প আরও বড় আকারে চালু করা হবে। পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পাইলট প্রজেক্টের কাজে এসি-নন-এসি মিলিয়ে ৪০টি বাস দেওয়া হয়েছে। বাসগুলিতে হেপা ফিল্টার বসানোর কাজ হয়ে গিয়েছে। অনেক গাড়িই এখন রাস্তায় চলছে। আরও ৫০টি বাসে ফিল্টার বসানো হবে বলে জানা গিয়েছে। গাড়িগুলো চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। বাস পিছু একটি যন্ত্র বসাতে ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফিল্টারগুলি সাফাই করা হবে। যন্ত্রগুলির রক্ষণাবেক্ষণ এবং তা কার্যক্ষমতা যাচাই করার জন্যে নজরদারি চালাবে বিশেষ দল।