রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

পুজোর মুখে ভয়াবহ বিপর্যয়ের জেরে সিকিমের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা

October 10, 2023 | 2 min read

পুজোর মুখে ভয়াবহ বিপর্যয়ের জেরে সিকিমের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পুজোর ছুটিতে সিকিম বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল অনেকেরই। কিন্তু সেই পরিকল্পনা এখন ভুগছে অনিশ্চয়তায়। পুজোর আগেই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে সিকিম। পর্যটন মানচিত্র থেকে মুছে গিয়েছে অনেক পাহাড়ি গ্রাম, হয়তো সেখানেই বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল অনেকের। সিকিমের এমন ভয়াবহ অবস্থা দেখে অনেকেই ভয় পাচ্ছেন বেড়াতে যাওয়ার। তাছাড়া বাংলা ও সিকিমের যোগাযোগে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এখনও বন্ধ।

এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম তাদের পুজোর প্যাকেজ টুর থেকে ছেঁটে ফেলল সিকিমকে। নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপঙ্কর পিপলাই জানিয়েছেন, যাঁরা সিকিমে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বুকিং করেছিলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁরা যেতে নারাজ। ফলে বাধ্য হয়ে পুজোর প্যকেজ টুর থেকে সিকিম বাদ দেওয়া হচ্ছে।

সিকিমের অর্থনীতির সিংহভাগই পর্যটন নির্ভর। আর পর্যটকদের সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় পুজোর সময়। ফলে ঠিক পুজোর মুখে রাজ্যে ভয়াবহ বিপর্যয়ে সিকিমের অর্থনীতি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ ও পশ্চিম সিকিমে পর্যটকরা আসতে পারেন বলে ওই রাজ্যের সরকারের তরফে জানানো হলেও এতে কতটা সাড়া মিলবে তা নিয়ে সন্দিহান উত্তরের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ধস সারিয়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক চালু না হলে ঘুরপথে মোটেই খুব বেশি পর্যটককে সিকিমে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন টুর অপারেটররা। সেক্ষেত্রে মহালয়া থেকে লক্ষ্মীপুজো অর্থাৎ পুজোর পর্যটনে সিকিম ও দার্জিলিং মিলিয়ে প্যাকেজ টুরে অন্তত ২৫০ কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

এদিকে সিকিমের লাচুং ও লাচেনে আটকে পড়া পর্যটক এবং স্থানীয় মানুষজনকে উদ্ধার করা শুরু করেছে সেনা। আবহাওয়া খারাপ থাকার জন্য হেলিকপ্টার পর্যটকদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছিল না। ফের আবহাওয়া অনুকূল হতেই সে কাজ শুরু হয়। গ্যাংটকের এম জি রোডের এক পাশে বিপর্যয় সহায়তা কেন্দ্র। টেবিল-চেয়ার নিয়ে বসে সিকিম সরকারের কয়েক জন আধিকারিক। মোবাইল ফোন সারাক্ষণ বেজে যাচ্ছে। বেশির ভাগ ফোনই উত্তরবঙ্গের কোনও জেলার। কারও ছেলে নিখোঁজ, কারও স্বামী। সেনাবাহিনীর পোর্টারের কাজ করতেন কেউ, কেউ নির্মাণকর্মী। সিকিমের হড়পা বানের বিপর্যয়ের পর থেকে তাঁদের খোঁজ মিলছে না। সহায়তা ডেস্কের কর্মী ফোনে বিবরণ শুনে, নামধাম সব মোটা খাতায় লিখে রাখছেন। নিখোঁজের তালিকা ক্রমশ লন্বা হচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Economy, #Sikkim, #Natural calamity

আরো দেখুন