পুজোর প্ল্যানিং-এ লম্বা লিস্ট! তার আগে ঝিমিয়ে পড়া মন চাঙ্গা করবেন কীভাবে?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শিয়রেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। এখন শুধু দিন গুনছেন আপামর বাঙালি।শুধু পুজোর চারদিনের প্ল্যান কষে ফেললেই হল, তাহলেই কেল্লাফতে! পুজোর গন্ধ গায়ে মেখে প্যান্ডেল হপিং অনেকেরই পছন্দ নয়। সারা বছর এমনিই অফিস থেকে ছুটি পাওয়া দুষ্কর। তাই এই সময়টা অনেকেই অন্যভাবে কাজে লাগান। তবে জরুরি বিষয় হল পুজোর ছুটি এমনভাবে কাটান যাতে মন চাঙ্গা হয়। অবসর শেষে যেন ক্লান্তি না আসে। নিজের মর্জি মতো এই কাজগুলো করলে মন ফুরফুরে হবে, ফিরে পেতে পারেন হারানো মেজাজ
১) ঘুম: অনেকেই রাত জেগে ঠাকুর দেখতে ভালোবাসেন। পরের দিন সেই জন্য প্রচণ্ড ক্লান্ত লাগে। তাই ঠিকমতো ঘুমের দরকার। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মন ভালো থাকবে না।
২) ঘুরতে যাওয়া: পুজোর ছুটিতে ঘুরতে যাওয়া সেরা সময়। মন ভালো রাখতে ঘুরতে যাওয়ার মতো ভালো দাওয়াইয়ের বিকল্প নেই। ঘুরে আসতে পারেন পাহাড়, জঙ্গল, সমুদ্র— যেখানে আপনার মন চায়। চুটিয়ে মজা করুন। ঘুরতে যেতে মন না চাইলে প্যান্ডেল হপিং করুন। ভিড় পছন্দ না হলে নির্জন কোনও জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
৩) পেটপুজো: পুজোর কটাদিন প্রায় সকলেই বাইরে খেতে পছন্দ করেন। তবে টানা বাইরের খাবার, ফাস্ট ফুড খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভালো নয়। তাই চেষ্টা করুন আপনার প্রিয় খাবারগুলো বাড়িতে বানিয়ে খেতে। এতে শরীর-মন দুটোই চাঙ্গা থাকবে।
৪) আড্ডা: সারা বছর কাজের ব্যস্ততার কারণে আড্ডা মারার সুযোগ হয় না অনেকেরই। পুজোর ছুটিতে চুটিয়ে আড্ডা মারুন। এই সময় নেগেটিভ কথাবার্তা থেকে দূরে থাকুন। পজিটিভ চিন্তা, বন্ধুদের সাথে আলোচনা আপনার মনকে আরও চাঙ্গা করে তুলবে।
৫) শরীরচর্চা: পুজোর ছুটির দিনগুলিতে শরীরচর্চা করলে আরও বেশি আনন্দে থাকতে পারবেন। শরীরচর্চার ফলে হ্যাপি হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। ফলে পুজোর দিনের পাশাপাশি ছুটি শেষেও মন ভালো থাকে।
৬) পরিবারকে সময় দেওয়া: অনেকেরই কাজের চাপে পরিবারকে একেবারেই সময় দেওয়া হয়ে ওঠে না। এই সময় বাড়ির সবাই মিলে খুব আনন্দ করুন।
৭) গৃহবধূদের জন্য: গৃহবধূরা পরিবারের জন্য সারা বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করেন । এই কটা দিন তাঁদেরও ছুটির প্রয়োজন। তাই পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাঁদের সাহায্য করতে পারেন। এতে গৃহকর্ত্রীদের ভালো লাগবে।
৮) একা থাকতে যাঁরা ভালোবাসেন: যাঁরা একা থাকতে পছন্দ করেন তাঁরা সারা বছর কাজের চাপে যে কাজগুলি করতে পারেননি সেগুলি করুন। ঘর সাজানো, বাগান পরিচর্যা, পছন্দের গান শোনা, সিনেমা দেখা, বই পড়া, সাহিত্য চর্চা, বই লেখা, ছবি আঁকা, ফটোগ্রাফি, সোলো ট্যুর ইত্যাদি করে দেখতে পারেন।
৯) পুজোয় ছুটি না থাকলে: যাঁদের পুজোর সময়েও ছুটি পান না, তাঁরা মন খারাপ করবেন না। কারণ আপনারা ওই সময় কাজ করছেন বলেই বাকিরা স্বচ্ছন্দ্যে পুজো উপভোগ করতে পারছেন। কাজের ফাঁকে অনলাইনে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিন, ভার্চুয়ালি পুজো পরিক্রমা দেখতে পারেন। সর্বোপরি মনকে সান্ত্বনা দিন, পুজো শেষ হলে অবশ্যই ছুটি পাবেন। তখন চুটিয়ে মজা করুন।