মোদী সরকারের আর্থিক অনিয়ম প্রকাশ্যে আনতেই CAG অফিসারদের জুটল বদলি?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী সরকারের আর্থিক অনিয়ম প্রকাশ্যে আনতেই রোষে পড়লেন ক্যাগ অফিসাররা? উঠছে প্রশ্ন। দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে আয়ুষ্মান ভারত, গরিবের পেনশন বা অযোধ্যা উন্নয়ন পর্ষদ, সর্বত্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনেছিল কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল। সংসদে পেশ হয়েছিল রিপোর্ট। অবশ্য সে রিপোর্ট উড়িয়ে দিয়েছিল মোদী সরকার। আর্থিক অনিয়ম ও গরমিল ধরে ফেলা তিন ক্যাগ অফিসারকে এবার পদ থেকেই সরিয়ে দেওয়া হল। জানা যাচ্ছে, বদলি হাওয়া তিনজনই কয়েকটি মন্ত্রকের অডিট করে অনিয়ম খুঁজে পেয়েছিলেন। তাঁদের তৈরি রিপোর্টই সংসদে পেশ হয়েছে। ওই অফিসারদের সম্প্রতি অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার বদলির খবর প্রকাশ্যে আসতেই সরব হয়েছে বিরোধী জোট। ইন্ডিয়া জোটের অভিযোগ, দুর্নীতি আড়াল করতে মরিয়া মোদী সরকার। সেই কারণে মোদীর কোপে পড়েছে ক্যাগ।
ক্যাগ রিপোর্টে ভারতমালা হাইওয়ে প্রকল্পে প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকা আর্থিক গরমিলের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। ভারতমালা প্রকল্পে অতিরিক্ত টাকা খরচের কারণ হিসেবে কোনও স্পষ্ট তথ্য দিতে পারেনি মোদী সরকার। প্রশ্ন উঠছে ভদোদরা থেকে দিল্লি হাইওয়ে নিয়েও। মোদীর মন্ত্রিসভা এটিকে ভারতমালা যোজনায় অন্তর্ভুক্তই করেনি। আয়ুষ্মান ভারতে অসংখ্য তথ্যগত অনিয়মও ধরা পড়েছে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অডিটে দেখা যাচ্ছে, দেশের ২৮ রাজ্যের ১৬১টি জেলায় ৯৬৪ হাসপাতালে ১ লক্ষ ৭৯ হাজার রোগীর অপারেশন হয়েছে ‘ডিসচার্জ ডেট’-র পর। ৩০০ কোটি টাকা ‘ক্লেম’ করা হয়েছে আড়াই লক্ষ আয়ুষ্মান কেসে। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় একই নাম, ফোন নম্বর একাধিকবার ব্যবহার করা হয়েছে। এই রিপোর্টের জেরে চরম অস্বস্তিতে মোদী সরকার। বিরোধীরাও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তদন্তের দাবিতে সরব।
মোদীর মন্ত্রীরা বলছেন ক্যাগ রিপোর্টে ভুল আছে। বিরোধীদের বক্তব্য, যখনই ক্যাগ মোদী সরকারের একাধিক প্রকল্পে আর্থিক গরমিল ও অনিয়মের হদিশ পেল, তখন তারা ভুল হয়ে গেল? তার মধ্যেই বদলি। মোদী সরকার বিষয়টিকে রুটিন ট্রান্সফার বললেও মানছে না বিরোধীরা।