মোদী সরকারের ভাঁড়ে মা ভবানী! তাই কি রেল স্টেশনের সাফাইয়ের কাজ বন্ধ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বন্ধ হতে চলেছে বিভিন্ন রেল স্টেশনের সাফাইয়ের কাজ। নেপথ্যে টাকার অভাব? ভারতীয় রেল বোর্ড বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্টেশনের সাফাইয়ের খাতে খরচ অনেকটা কমিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে। বিভিন্ন স্টেশনে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকার প্রভাব পড়তে আরম্ভ হয়েছে। টাকার অভাবে সাফাই কর্মী মিলছে না। কোনও কোনও স্টেশন এতই অপরিচ্ছন্ন যে, যাত্রীরা জেরবার। মোদীর ‘স্বচ্ছ ভারত’ নিয়ে গালভরা কর্মসূচিই সার! আদপে স্টেশনগুলিতে সাফাই খাতে ব্যয় সঙ্কোচনের নির্দেশ আসছে মোদী সরকারের তরফে। শিয়ালদহ, হাওড়াসহ দেশের সমস্ত ডিভিশনের স্টেশনে ব্যয় সঙ্কোচনের নির্দেশ কার্যকর হবে। ডেঙ্গুতে ভুগছে গোটা ভারত। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ডেঙ্গুবাহক মশার স্বর্গরাজ্য। এমাতবস্থায় রেল স্টেশনগুলির নিয়মিত সাফাই না হাওয়ায় আশঙ্কা করা হচ্ছে, মশাবাহিত জ্বরের প্রকোপ বাড়তে পারে।
প্রসঙ্গত, বাংলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বাংলার কয়েকশো রেল স্টেশনে পড়ে থাকা জঞ্জালের স্তূপ ও অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। রেলের অধীনে থাকা ১ হাজার ১০০টির বেশি জায়গাকে চিহ্নিত করেছিল রাজ্য। কলকাতা ও হাওড়া পুরসভা শিয়ালদহ, হাওড়া ডিভিশনের কয়েকটি স্টেশনের নোংরা পরিবেশ নিয়ে রেলকে চিঠি দিয়েছে। কয়েকজন স্টেশন মাস্টারকেও নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রেলের অন্দরে শোনা যাচ্ছে, সাফাই খাতে বরাদ্দ এক ধাক্কায় অনেকটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাফাইয়ে নিযুক্ত বেসরকারি সংস্থাকে নিয়মিত টাকা দেওয়া যাচ্ছে না। যার জেরে স্টেশন সাফ করার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন কর্মীরা।
এখন ‘স্টেশন ইমপ্রেস’ খাতের সামান্য টাকা দিয়ে জোড়াতালি দেওয়া কাজ হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন রেল আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, স্টেশনের গুরুত্ব ও যাত্রীদের চাপের কথা মাথায় রেখে ‘স্টেশন ইমপ্রেস’ খাতে কিছু টাকা জমা রাখা হয়। তা দিয়ে মূলত স্টেশনের দৈনন্দিন কাজের সামগ্রী কেনা হয়। নয়া নির্দেশিকা আনুযায়ী, সেই টাকা থেকেই পরিচ্ছন্নতার জন্য বরাদ্দ করতে হবে। বরাদ্দ ছাঁটাইয়ের কারণ কী? প্রশ্ন উঠছে।