ফের শুরু ব্যাঙ্ক বিক্রির তোড়জোড়, অবশিষ্ট থাকবে মোটে ৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বেসরকারিকরণই মোদী সরকারের ঘোষিত আর্থিকনীতি। এলআইসি থেকে এয়ার ইন্ডিয়া, প্রায় সবই বেচে দিচ্ছেন মোদী। রেহাই নেই ব্যাঙ্কেরও।
মোদী আমলের শুরুর সময় দেশে সরকারি ব্যাঙ্ক ছিল ২৭টি। ২০১৭ থেকে তা কমতে শুরু করে। সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে অবশেষে মাত্র ১২টিতে এসে ঠেকেছে। কিন্তু মোদী সরকারের কাছে তাও যথেষ্ট বেশি। আরও কমানো হবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংখ্যা। শেষপর্যন্ত থাকবে মাত্র চারটি, বাকি আটটি ব্যাঙ্ক বিক্রির তোড়জোড় শুরু হয়েছে বলে খবর মিলছে। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সঞ্জীব সান্যাল বলেছেন, দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় আগামীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। গোটা ব্যবস্থার পরিচালনায় ধাপে ধাপে বেসরকারি ভূমিকা বাড়বে। বেসরকারি ব্যাঙ্কিং পরিসর সম্প্রসারিত হবে।
প্রায় ঠিক হয়ে গিয়েছে, দেশের আটটি ব্যাঙ্ক বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হবে। কোন চারটি ব্যাঙ্ক টিকে থাকবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি। খুব শীঘ্রই কমিটি গঠন করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। স্টেট ব্যাঙ্ক, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক, এই চারটি ব্যাঙ্ক টিকে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে। ২০২৪-র লোকসভা ভোট না মিটলে, তা হবে না। ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ সংশোধনী আইন এখনও পাশ হয়নি সংসদে। ব্যাঙ্ক জাতীয়করণের জন্য ব্যাঙ্কিং কোম্পানিজ অ্যাকিউজিশন অ্যান্ড ট্র্যান্সফার অব আন্ডারটেকিংস আইন ১৯৭০ এবং ১৯৮০ প্রণয়ন করা হয়েছিল। বেসরকারিকরণের জন্য দুই আইনে সংশোধনী আনতে হবে। নয়া আইনও পাশ করানো হতে পারে। গত দুই অর্থ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির রেকর্ড পরিমাণ আর্থিক মুনাফা হয়েছে। কিন্তু মোদী সরকার অনড়, তারা বিক্রি করবেনই। সরকারি ব্যাঙ্ক বিক্রি করে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা আয়ের পথ পেয়েছিল অর্থমন্ত্রক। সেই টার্গেট পূরণেই এগোচ্ছে মোদী সরকার।