সুকুমারের সাম্রাজ্যে দুর্গার আরাধনা, হাতিবাগান নবীন পল্লীর থিম ‘আবোল তাবোল’
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নন সেন্স রাইমের জাদুকর ছিলেন সুকুমার রায়, মজার ছড়ায় ছন্দে ছন্দে অনেক কঠিন কথা সহজ করে বলে দিতে পারতেন সুকুমার রায়। এ বছর তাঁর অমর সৃষ্টি আবোল তাবোল-র শতবর্ষ। এবার হাতিবাগান নবীন পল্লীর দুর্গাপুজোর থিম সুকুমার রায়ের ‘আবোল তাবোল’৷ ছোটবেলায় সুকুমার রায় পড়েননি, এমন বাঙালি বোধহয় কেউ নেই। তাই হাতিবাগান নবীন পল্লীর মণ্ডপে এলে তাজা হয়ে উঠবে ছোটবেলার স্মৃতি।
১৯২৩-র ১৯ সেপ্টেম্বর প্রথম প্রকাশ পায় আবোল তাবোল। এ বছর আবোল তাবোলের শতবর্ষ। ছাপার অক্ষরে আবোল তাবোলের দেখে যেতে পারেননি সুকুমার রায়। ১৯২৩-র ১০ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন সুকুমার রায়। তাঁর মৃত্যুর ঠিক ৯ দিন পর প্রকাশিত হয় আবোল তাবোল। আবোল তাবোলের ১০০ বছরের পাশাপাশি এটি সুকুমার রায়ের প্রয়াণেরও শতবর্ষ। নিজেদের পুজোর ৯০ তম বর্ষে সৃষ্টি ও স্রষ্টাকে স্মরণ করছে হাতিবাগান নবীন পল্লী।
থিমকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলতে এগিয়ে এসেছে গোটা পাড়া। গোটা পাড়া তথা এলাকাজুড়েই থিম ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গনেন্দ্র মিত্র লেন, নলিন সরকার স্ট্রিটের প্রাচীন বাড়ির দেওয়ালগুলো জুড়ে আবোল তাবলের নানা ছড়া ধরা পড়েছে৷ আবোল তাবোল-এর অতি পরিচিত চরিত্রগুলো ফুটে উঠেছে রঙ তুলিতে। বেশকিছু বাড়িতে থিম অনুযায়ী রং করা হয়েছে, যা একনজরে দেখলে মনে হবে ঠিক যেন আবোল তাবোলেরই প্রচ্ছদ। স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসেছেন এলাকার মানুষজন। যে প্রেসে প্রথম আবোল তাবোল ছাপা হয়েছিল, তার আদলেই মণ্ডপ গড়ে তোলা হয়েছে।
পুজোয় সময়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও থাকবে আবোল তাবোলের ছোঁয়া। আবোল তাবোলের কয়েকটি কবিতাকে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরবেন এলাকার ছেলে-মেয়েরা।