EXCLUSIVE সম্পর্কের টানাপোড়েন? প্রতিহিংসা? কেন সাংসদের ব্যক্তিগত ছবি ফাঁস
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র রএকটি ছবি। যা ঘিরে দানা বাঁধতে শুরু করেছে বিতর্ক। কিন্তু ছবিটি কি সত্য? নাকি যুধিষ্ঠীরের ‘অশ্বত্থামা হত ইতি গজ’-র মতো অর্ধ সত্য লুকিয়ে রয়েছে ভাইরাল ছবিতে?
দেখা যাচ্ছে, যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে তা আদতে ‘ক্রপ’ করা। আসল ছবিতে মহুয়ার সঙ্গে একটি পুরুষ রয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে, সেই ছেলেটিই কি ইচ্ছে করে ছবি থেকে নিজেকে ‘ক্রপ’ করে টুইট করেছে? সূত্রের খবর, ভদ্রলোকের নাম জয় অনন্ত দেহাদরাই। তিনি দিল্লির সি ৪৪ নীতি বাগে থাকেন। বয়স ৩৫-র কাছাকাছি। পেশায় তিনি উকিল। জানা যাচ্ছে, সে সুপ্রিম কোর্টে অল্প কিছুদিন যাবৎ প্র্যাকটিস করছে।
সূত্রের খবর, তিন বছর যাবৎ সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। সাংসদের সরকারি বাসভবনেই তিনি তখন থাকতেন।
স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, এই উকিলই কি মহুয়া মৈত্রর ব্যক্তিগত ছবি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল করেছেন? যদি তিনিই ছবি ভাইরাল করে থাকেন, সেক্ষেত্রে কেন নিজের ছবি ক্রপ করলেন?
মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে BJP সাংসদ নিশীকান্ত দুবে, সেই অভিযোগের ভিত্তি হলো এই জয় অনন্তের করা CBI-এর কাছে করা একটি অভিযোগ। এই গোটা বিষয়টা কি নেহাত কাকতালীয়?
সাংসদের বিরুদ্ধে কি ব্যক্তিগত কোনও ক্ষোভ মেটাচ্ছেন ওই উকিল? সম্পর্ক ভাঙতেই কি ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে ক্রপ ছবি ভাইরাল করা হল? নাকি এই ছবি ভাইরাল করতে তাঁকে কেউ মদত জুগিয়েছেন? এরকমই নানান প্রশ্ন উঠেছে। জানা যাচ্ছে, গত ৬ মাসে জয়ের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অনুপ্রবেশ, চুরি, অশ্লীল বার্তা এবং অপব্যবহারের জন্য একাধিক পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছেন মহুয়া মৈত্র যার সমস্ত রেকর্ডে উপলব্ধ।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন মহুয়া মৈত্র একটি ভিডিও টুইট করেন যাতে তিনি ‘বন্ধু। হেনরির সাথে খেলছেন। হেনরি একটি রটওয়েলার। অভিযোগ, দেহাদরি মহুয়ার প্রিয় পোষ্য কুকুরটিও নিয়ে যান। যদিও তা পরে মহুয়া ফেরত পান।
প্রসঙ্গত,জয়ের এক্স প্রোফাইলে নরেন্দ্র মোদীর স্তুতি এবং বিরোধী জোটকে ঠেঁস দেওয়া একাধিক পোস্ট দেখা গেছে।
দৃষ্টিভঙ্গির পক্ষ থেকে জয় অনন্ত দেহাদরাইকে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তাঁর প্রতিক্রিয়া জানার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গি।