গুরুদংমার-সহ সিকিমের একাধিক হ্রদ নিয়ে আশঙ্কা ব্যক্ত করছেন বিশেষজ্ঞরা
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2023/10/Gurudongmar-Lake-1024x576.jpg)
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সিকিমে যে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় নেমে এসেছে তারজন্য লোনাক হ্রদের বিস্ফোরণকেই অন্যতম প্রধান কারণ মনে করা হচ্ছে। কেন এই হ্রদে বিস্ফোরণ হয় তানিয়ে, স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে ইসরোর ‘ন্যাশনাল রিমোট সেনসিং সেন্টার’। একাধিক ছবি বিশ্লেষণ করে ইসরো জানায় যে, দক্ষিণ লোনাক হ্রদে ক্রমাগত আকার এবং চরিত্রের পরিবর্তন হচ্ছিল। সিকিমের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরও বিভিন্ন তথ্য এবং উপগ্রহ-চিত্র বিশ্লেষণ করে। তাদের মতে, সেখানের পাহাড়ে বড়সড় ধস নেমেছিল। যা সহ্য করতে পারেনি ওই হ্রদ।
তবে শুধু লোনক লেক নয়, উত্তর সিকিমের হিমবাহের সঙ্গে যুক্ত ১৪টি লেক বিপজ্জনক বলে অনেক বছর আগেই রিপোর্ট দেন বিশেষজ্ঞরা। লেকগুলি থেকে যেকোনও সময় গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট ফ্লাড (জিএলওএফ) এবং বিপুল জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা আছে। বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট বলছে, তিস্তা নদীর সৃষ্টি যে খাংসে হিমবাহ থেকে তার সংলগ্ন কাংচুং চো লেকটিও খুব বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। সমুদ্রতল থেকে সাড়ে ১৭ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই লেকের আয়তন চার দশকের মধ্যে ৪৭ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে একটি রিপোর্টে।
উত্তর সিকিমের গুরুদংমার লেকটি পর্যটক, বিশেষ করে বাঙালিদের কাছে খুবই আকর্ষক। ১৭ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় এখানে মোট তিনটি লেক আছে। উপরের দিকে অবস্থিত দুটি লেক। কিছুটা নীচের দিকে মূল লেকটি অবস্থান। উপরের দুটি থেকে জল নেমে আসে নীচের লেকে। উপগ্রহ চিত্রের সাহায্যে তৈরি রিপোর্টে উপরের লেক দুটির বাঁধে ফাটল ধরার ইঙ্গিত রয়েছে। হিমালয় অভিযাত্রী অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায় উত্তর সিকিমের এই লেকগুলির বিপজ্জনক পরিস্থিতি ছবিসহকারে বিস্তারিত ব্যাখা করেছেন। জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (জিএসআই) অবসরপ্রাপ্ত ডিরেক্টর শিখেন্দ্র দে জানান, উত্তর সিকিমের বিভিন্ন লেক নিয়ে চিন্তার কারণ রয়েছে। লেকগুলি থেকে জিএলওএফ বিপর্যয় আটকাতে বিশেষ নজরদারি জরুরি। অতিরিক্ত জল বের করা বা অত্যাধুনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে আগাম সতর্কবার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।