দেশ বিভাগে ফিরে যান

হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের জের! আদানি টোটালের লোকসান ৮৫ শতাংশ

October 25, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশের পর জানুয়ারিতে কার্যত ধস নামে আদানি গ্রুপের শেয়ারগুলিতে। রেকর্ড ক্ষতির সম্মুখীন হয় ভারতের এই ধনকুবের। এই বছরের জানুয়ারিতে এই রিপোর্ট প্রকাশের পর গৌতম আদানির ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য ধাক্কা খায়। কোম্পানিগুলি পরের কয়েক সপ্তাহে বাজারে রেকর্ড পতন প্রত্যক্ষ করে। আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান জানান, একদিনের সবচেয়ে বড় ক্ষতির রেকর্ড হয়েছে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি। প্রায় ২০.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে ওই দিন।

হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শুরু হয় আদানি গোষ্ঠীর রক্তক্ষরণ। আশঙ্কা করা হচ্ছিল এই রিপোর্টের জেরে আদানি গোষ্ঠীর ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতি হতে পারে। সেই আশঙ্কাই এবার সত্যি হল আদানি টোটালের লোকসানের পরিমাণের ক্ষেত্রে। আদানি গোষ্ঠীর নথিভুক্ত সাতটি কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বড় সংস্থা আদানি টোটাল গ্যাস লিমিটেড। গত ২৪ জানুয়ারি সংস্থার হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশের সময় এই সংস্থার শেয়ারের দাম ছিল ৩,৮৯১ টাকা ৭৫ পয়সা। বর্তমানে শেয়ার প্রতি সেই দর মেনে এসেছে মাত্র ৫৭৫ টাকার আশেপাশে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ারের দাম প্রায় ৮৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। আর সেটাই পূর্বাভাস দিয়েছিল হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট।

২০২৩ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেল কোম্পানির মাধ্যমে শেয়ারের মূল্যে ম্যানিপুলেশন, কর্পোরেট অব্যবস্থাপনার মতো বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছিল। যদিও এমন ধরনের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে আদানি গ্রুপ। কিন্তু সেই সময় এই গোষ্ঠীর সমস্ত শেয়ারের দরে উল্কা গতিতে পতন শুরু হয়। এর জেরে বাজারের মূল সূচকগুলিও কমতে শুরু করে।

যদিও হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে আদানির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছিল সেই অভিযোগ এখনও প্রমাণিত হয়নি। এই পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে সেবি এবং সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি। ওই কমিটির অন্তর্বর্তী রিপোর্টে বলা হয়েছে, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কোনও কারচুপি করে শেয়ারের দাম বাড়ানো, কর ফাঁকি-সহ বেআইনি আর্থিক লেনদেনের কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#hindenburg, #Adani Total, #Hindenburg Research

আরো দেখুন